বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে স্মরণ করলেন ইরফান হাবিব, কিন্তু কেন
আজ ৬ অক্টোবর মেঘনাদ সাহার জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করেছেন বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চা করা বুদ্ধিজীবী এস ইরফান হাবিব।
বাঙালি তথা ভারতবর্ষের বিজ্ঞানের জগতে অন্যতম স্মরণীয় নাম মেঘনাদ সাহা। জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী এই মানুষটি পদার্থবিজ্ঞানে থার্মাল আয়নাইজেশন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠা করেন। নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মকে বোঝাতে গেলে সাহার তত্ত্বের সাহায্য নেওয়া হয়। আজ ৬ অক্টোবর তাঁকে স্মরণ করেছেন বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চা করা বুদ্ধিজীবী এস ইরফান হাবিব। তিনি টুইটে বলেছেন, ১৯৩৮ সালে জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন মেঘনাদ সাহা। এহেন বরেণ্য বিজ্ঞানী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক সংক্ষেপে।
মেঘনাদের জন্ম ও শৈশব
১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকার এক গ্রামে মেঘনাদ সাহার জন্ম। বাবার ছিল মুদির দোকান। নিদারুণ আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে পাশ করার পরে ঢাকা কলেজে পড়েন তিনি। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের সঙ্গে একসঙ্গে বিজ্ঞানের চর্চা করেন।
মেঘনাদের সহপাঠী ও শিক্ষক
মেঘনাদ সাহার শিক্ষক ছিলেন বরেণ্য বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও সারদা প্রসন্ন দাস। শেষের দিকে তিনি অমিয় চরণ ব্যানার্জির সংস্পর্শে আসেন। অমিয়বাবু এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতজ্ঞ ছিলেন।
বিজ্ঞানে অবদান
সৌরকিরণের ওজন ও চাপ মাপার যন্ত্র আবিষ্কার করেন মেঘনাদ সাহা। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিজ্ঞানের প্রসারে কাজ করেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় বিভাগ চালু করার পাশাপাশি কলকাতায় ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স চালু করেন মেঘনাদ সাহা। এছাড়া সায়েন্স অ্যান্ড কালচার নামে একটি জার্নালও চালু করেছিলেন তিনি। এসবের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স সংস্থা চালু করার মুখ্য উদ্যোগ নেন। হ্যালির ধূমকেতু নিয়ে মেঘনাদ সাহার কাজ বিশেষভাবে স্বীকৃত।
নোবেল বঞ্চনা
বিজ্ঞানের জগতে অবিস্মরণীয় অবদান রাখা মেঘনাদ সাহাকে বহুবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হলেও তা দেওয়া হয়নি। ১৯৩০ সালে, ১৯৩৭ ও ১৯৪০ সালে ও পরে ১৯৫১ ও ১৯৫৫ সালে মেঘনাদ সাহার নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হলেও নোবেল কমিটি কাজের প্রশংসা করলেও সেগুলিকে আবিষ্কার হিসাবে না ধরায় সাহা নোবেল পাননি।