For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

দু'বছর পূর্ণ করল মহারাষ্ট্রের ফডনবিশ সরকার; কতটা কী করতে পারলেন তিনি?

মহারাষ্ট্রের প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফডনবিশের ব্যক্তিগতভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি থাকলেও সরকারি কার্য সম্পাদনে তাঁর সরকারের এখনও অনেকটা পথ পেরোনো বাকি

  • By SHUBHAM GHOSH
  • |
Google Oneindia Bengali News

৩১ অক্টোবর দু'বছর পূর্ণ করবে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকার। ২০১৪ সালে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরে বিজেপি-শিবসেনার যৌথ সরকার ক্ষমতায় আসে। দেশজুড়ে নরেন্দ্র মোদী হাওয়া তখনও বইছে জোরদার।

লোকসভা জয়ের পরে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানাতে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে বিজেপি (মহারাষ্ট্রে এর আগে নবব্বইয়ের মধ্যভাগে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল অবশ্য কিন্তু সেবার ক্ষমতার রাশ ছিল শিবসেনার হাতে)। এই দুই রাজ্যেই দুই নতুন মুখের হাতে প্রশাসনিক দায়িত্ব তুলে দেয় বিজেপি।

দু'বছরে কতটা কী করতে পারলেন ফডনবিশ সরকার?

এঁদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং গত দু'বছরে ব্যক্তিগতভাবে সৎ ভাবমূর্তি নিয়ে চললেও সরকারের ভিতরে এবং বাইরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে।

জোটসঙ্গী শিবসেনার সময়ে অসময়ে কটাক্ষ তো বটেই, গো-মাংসর উপর নিষেধাজ্ঞা, রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যা, মারাঠা গোষ্ঠীর সংরক্ষণের দাবি, পাকিস্তানি শিল্পীদের প্রতি কড়া মনোভাবসম্পন্ন মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গে 'সমঝোতা' ইত্যাদি নানা বিষয়েই ফডনবিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।

এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচন। যদিও বিজেপি এবং সেনা এই নির্বাচনে একসাথে লড়বে বলেই জানিয়েছে কিন্তু মহারাষ্ট্রে এই দুই প্রধান দলের সম্পর্কের গতিমুখ যেভাবে প্রবাহিত হয়েছে গত দু'বছরে, তাতে দু'মাস পরে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে আগাম কেউই বলতে পারে না।

ফডনবিশ সরকারের কাজ সম্পর্কে এই দুই বছরের খতিয়ান জানতে চাইলে ওয়াকিবহাল মহলের প্রতিক্রিয়া এককথায় বললে "মিশ্র"। মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী হলেও কার্যক্ষেত্রে তিনি যে রাজনৈতিক সমর্থনের অভাবে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি, তা বলছেন অনেকেই।

একথা ঠিকই যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফডনবিশের যাত্রাপথ প্রথম থেকেই কণ্টকাকীর্ণ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে এনডিএর এই দুই শরিকের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। শুরুতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে শারদ পাওয়ার-এর এনসিপি বাইরে থেকে সমর্থন জানালেও পরে শিবসেনা ফিরে আসে সরকারে।

অবশ্য তার পরেও যে ফডনবিশ সরকারের অস্বস্তি কেটেছে তা নয়। এই বছরের জুনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সরকারের দু'নম্বর নেতা একনাথ খাডসে ইস্তফা দেন এবং বিরোধী কংগ্রেস এবং এনসিপি ফডনবিশের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন যে তিনি তাঁর দুর্নীতিগ্রস্ত সহকর্মীদের আড়াল করছেন।

তবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সুবিধে হল যে তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিশেষ আস্থাভাজন। রাজ্যের অন্যান্য বিজেপি নেতা যেমন বিনোদ তাওড়ে বা প্রয়াত হেভিওয়েট নেতা গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা পঙ্কজা মুন্ডে যদিও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন থাকায় ফডনবিশের গদি এইমুহূর্তে যথেষ্ট সুরক্ষিত।

তবে বিদর্ভকে পৃথক রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি এবং শিবসেনার পক্ষ থেকে তার বিরোধিতা বা মারাঠাওয়ার অঞ্চলে কৃষি এবং কৃষকের শোচনীয় হালের বিষয়ে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফডনবিশ যে চাপে রয়েছেন সে বিষয়ে বিজেপির শীর্ষই নেতৃত্বেরও দ্বিমত থাকবে না।

আর মারাঠাওয়ার-এর খরা এবং কৃষির বেহাল দশার অন্যতম ফল হিসেবে গ্রামে বসবাসকারী মারাঠি গোষ্ঠীর মধ্যে থেকে যে চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের প্রবল দাবি উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীকে সামলাতে হচ্ছে তার হ্যাপাও। এই নিয়ে নিজেদের সরকারকেই বিঁধেছেন সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। অবশ্য সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগতভাবে ভালো সম্পর্ক থাকাতে মুখ্যমন্ত্রী ফডনবিশ অনেক ক্ষেত্রেই উৎরে যাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত।

ফডনবিশকে ঘিরে অবশ্য তাঁর দু'বছর পূর্তির ঠিক আগে একটি বড় বিতর্ক দেখা দেয়। বলিউডের ছবিতে পাকিস্তানি শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে রাজ ঠাকরের দলের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হলে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর বাড়িতে ঠাকরে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক করণ জোহরের (তাঁর "এ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল" ছবি নিয়েই যত সমস্যা) মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।

ঠাকরে সেই বৈঠকে বলেন যে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিজেদের ছবিতে নিয়েছেন এমন সব চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভারতীয় সেনা উন্নয়ন তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দিতে হবে।

আর এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন। "মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিয়ে দেশপ্রেম কিনছেন," বলেন এক সমালোচক। ফডনবিশের শিবির বলে যে মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবেই চেয়েছিলেন এই সমস্যার সমাধান করতে যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে দিন কাটাতে পারেন কিন্তু তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি।

এবার দেখা যাক, তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করে ফডনবিশ কদ্দুর নিজের এবং দলের প্রশাসনিক ভাবমূর্তি ফেরাতে পারেন।

English summary
Maharashtra CM Devendra Fadnavis completes 2 years in office; how good has been his journey as the state's first BJP CM?
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X