'সুপার মুন' এর সঙ্গে কি ভূমিকম্পের কোনও যোগ রয়েছে! উঠছে বেশ কিছু তথ্য
এই প্রথম ১৫০ বছর পর 'সুপার ব্লু ব্লাড মুন ' দেখা যেতে চলেছে। যেদিন নীল রঙে মিশে যাবে লাল ! ইতিহাস বলছে সুপার মুন-এর সময়ে অনেকবারই দেখা গিয়েছে প্রাকৃতির কিছু অস্বাভাবিক আচরণ।
মনে হতেই পারে এটি নিছক কাকতালীয় বা শুধুই মিথ, যে 'সুপার মুন'-এর মতো মহাজাগতিক ঘটনা যেদিন ঘটে সেদিনই ভূমিকম্প হয় ! শুধু এই প্রথমবার নয়। অতীতেও এরকম বহু ঘটনা দেখা গিয়েছে যখন সুপার মুন সংগঠিত হওয়ার দিনই কম্পন অনুভূত হয়েছে বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এই প্রথম ১৫০ বছর পর 'সুপার ব্লু ব্লাড মুন ' দেখা যেতে চলেছে। যেদিন নীল রঙে মিশে যাবে লাল ! এমন এক দিনের প্রাকৃতি কেমন রূপে ধরা দেবে তা আলাদা প্রসঙ্গ। তবে ইতিহাস বলছে সুপার মুন-এর সময়ে অনেকবারই দেখা গিয়েছে প্রাকৃতির কিছু অস্বাভাবিক আচরণ।
২০১১-এর জাপান
২০১১ সালে জাপানে আছড়ে পড়ে সুনামি । সেই সময়ে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ৮ দিন আগে দেখা গিয়েছিল সুপার মুন। মৃঅনেকেই মনে করে ছিলেন এই ভয়ঙ্করভাবে ধেয়ে আসা সুনামি সুপার মুন -এরই ফলাফল।
[আরও পড়ুন:আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, ঠিক কী হতে চলেছে! জেনে নিন নানা খুঁটিনাটি]
২০০১ ভুজ, গুজরাত
২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি গুজরাতের ভুজে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৯ । উল্লেখ্য, সেই মাসেই সেই বছর মহাজাগতিক দুনিয়ায় সংগঠিত হয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
[আরও পড়ুন:চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে কী টিপস নাসার বিজ্ঞানীদের, দেখুন লাইভ ভিডিও]
২০১১ সালের নিউজিল্যান্ডের কম্পন
রিখটার স্কেলে ৬.৩ কম্পনের তিব্রতা নিয়ে ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডে ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটে যায় ভূমিকম্প। যে ঘটার ৪ দিন আগেই আকাশে দেখা গিয়েছিল সুপার মুন।
গবেষণা যা বলছে
'আর্থ চেঞ্জেস মিডিয়া' নামের একটি গবেষণা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে চন্দ্রের বিভিন্ন অবস্থান সম্পর্কিত কারণে মোট ২১ টি ভূমিকম্প দেখা গিয়েছে গোটা বিশ্বে। যার মধ্যে ২ টি ঘটনার সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত।
মার্কিন গবেষণাকেন্দ্র যা জানাচ্ছে
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, সাম্প্রচিক অনেক কটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভূপৃষ্ঠীয় ঢেউ( যা তৈরি হয় চাঁদের অবস্থানের ওপর) আর ভূমিকম্পের যোগ রয়েছে। যেমন পূর্ণিমার সময়ে জরে জোয়ার বা ভূপৃষ্ঠীয় জোয়ার অনেক সময়ই তৈরি হয়, যার ফলে হয়ে থাকে ভূমিকম্প। এমনই দাবি তুলেছে এক সাম্প্রতিক গবেষণা। তবে সেই রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে, তবে সুপার মুন যদিও কোনও বিশেষ জোয়ার তৈরি করে না ভূ-পৃষ্ঠে।