শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণে দেখা মিলবে 'লাল চাঁদ'-এর, আসন্ন 'গ্রহণ' ঘিরে কিছু চমকপ্রদ তথ্য
মহাজাগতিক অনেক বিষয়ই আমাদের নিত্যদিনের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। গ্রহদের গতিপ্রকৃতি থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে মানব জীবন! এমনই দাবি জ্যোতিষবিদদের।
মহাজাগতিক অনেক বিষয়ই আমাদের নিত্যদিনের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। গ্রহদের গতিপ্রকৃতি থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে মানব জীবন! এমনই দাবি জ্যোতিষবিদদের। বিভিন্ন ঘটনার যেমন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে, তেমনই বিভিন্ন ঘটনার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত রয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞান। এমনই এক ঘটনা হল চন্দ্রগ্রহণ। ২৭ জুলাইয়ের চন্দ্রগ্রহণ ঘিরে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল 'লালচাঁদ'। এই মহাজাগিত ঘটনা নিয়ে কয়েকটি তথ্য দেখে নেওয়া যাক।
২৭ জুলাই ব্লাড মুন
২৭ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষ। শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ ঘিরে রয়েছে কৌতূহল। এদিন টানা ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ধরে চলবে গ্রহণ। ২৭ জুলাই ভারতীয় সময় রাত ১১ :৫৪ মিনিটে শুরু হবে গ্রহণ। ওই সময়েই দেখা যাবে রক্তাক্ত চাঁদ, যা ব্লাড মুন নামে খ্যাত।
[আরও পড়ুন:২০১৮ থকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণের দিনক্ষণ, জানুন রাশিফলে এর প্রভাব]
এটি কেন আলাদা?
২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে এই ধরনের দীর্ঘ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি। ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ধরে চলা এই চন্দ্রগ্রহণই সবচেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে।
এটি দেখবার শ্রেষ্ঠ সময়
মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র নাসা জানিয়েছে, এশিয়া অস্ট্রেলিয়ার মানুষ এই গ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখতে পাবেন। সেখানে মধ্য রাত থেকেই তা দেখা যাবে। ইওরোপ ও আফ্রিকাতে তা বিকেল বা সন্ধ্যে নাগাদ দেখা যাবে।
[আরও পড়ুন:২০১৮ সালের সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ, জেনেনিন তিথি ও সময়]
লাল চাঁদের মূল কারণ
গ্রহণের সময়ে চাঁদের রঙ লাল হওয়ার অন্যতম কারণ, রেলিগ স্ক্যাটার। এই ঘটনার জন্যই সূর্যাস্ত ও সূর্যদয়ের সময়ে আকাশ জুড়ে লাল আভা ছড়িয়ে যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ লাল বা লালচে বা কমলা বর্ণের হতে পারে। এই রঙ নির্ভর করে পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর। মূলত ধূলিকণার উপর।