স্যোশাল মিডিয়ায় কীভাবে প্রতিফলিত মার্কিন নির্বাচন? দেখে নিন
এর আগে কোনও মার্কিন নির্বাচনে স্যোশাল মিডিয়ার ভূমিকা এত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপ্তির আকারে বিশাল ছিল না। ২০১২ সালে কেউ ভাবতে পারেননি নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ভিডিও ফেসবুক অথবা টুইটারে পোস্ট করা যেতে পারে।
এখনকার দিনে কেউ স্যোশাল মিডিয়াকে ভালোবাসুন অথবা ঘৃণা করুন, কেউ একে অস্বীকার করতে পারবেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই কথাটি সমানভাবে প্রযোজ্য। গত কয়েকমাস ধরে সমানে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়াগুলি মার্কিন নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের মতো এটিও হয়ে উঠেছে সংবাদ সংগ্রহের অন্যতম সেরা জায়গা। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট সহ একাধিক মাধ্যম ভরে উঠেছে মার্কিন নির্বাচনের নানা বাহারি খবরে। কখনও কখনও শুধু খবর নয়, বিতর্কও তৈরি করেছে স্যোশাল মিডিয়ার নানা নিউজ ফিড। ফলে সবমিলিয়ে গোটা বিষয়টি একেবারে জমে উঠেছে।
এর আগে কোনও মার্কিন নির্বাচনে স্যোশাল মিডিয়ার ভূমিকা এত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপ্তির আকারে বিশাল ছিল না। ২০১২ সালে কেউ ভাবতে পারেননি নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ভিডিও ফেসবুক অথবা টুইটারে পোস্ট করা যেতে পারে। অথবা কোনও কিছু স্ন্যাপচ্যাটে পোস্ট করা যেতে পারে। নিচে দেখে নিন কীভাবে স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা মার্কিন নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
কতগুলি খবর খবরের সাইটগুলি পাবলিশ করছে
মার্কিন অথবা ইউরোপীয় সংবাদসংস্থা বা নিউজ সাইট বিচার করলে দেখা যাবে বেশিরভাগেরই মুখ্য বিষয় থেকেছে এই মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই। Vox.com তাদের মোট খবরের ৫১ শতাংশই মার্কিন নির্বাচন নিয়ে করেছে। CNN এর ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা শতাংশের বিচারে ৩৪। এছাড়া দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯ শতাংশ, হাফিংটন পোস্ট ১৫ শতাংশ, ফক্স নিউজ ১৩ শতাংশ, ইউএসএ টুডে ১২ শতাংশ, নিউ ইয়র্ক টাইমস ১২ শতাংশ, দ্য গার্ডিয়ান ৮ শতাংশ ও বাজফিড ৫ শতাংশ হারে মার্কিন নির্বাচনের খবর ছেপেছে।
ট্রাম্প ফ্যাক্টর
যেকোনও কারণেই হোক অথবা যে যেভাবেই নিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প একেবারে প্রথম থেকেই স্যোশাল মিডিয়ার আলোচনার পাত্র ছিলেন। এবং গত কয়েকমাস ধরে নানা বিতর্কে তার ধারেকাছে কেউ ছিলেন না। সমীক্ষা বলছে, সবকটি নিউজ সাইটে ট্রাম্প সংক্রান্ত খবর সবচেয়ে বেশি মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন। এমনকী ফেসবুকেও ট্রাম্প নিয়ে যতখবর বেরিয়েছে বা শেয়ার হয়েছে, তাতে মানুষের আগ্রহ বেশি থেকেছে।
এক্ষেত্রেও ভক্স নিউজের ৪৫ শতাংশ, ওয়াশিংটন পোস্টের ৩৭ শতাংশ, সিএনএনের ৩৬ শতাংশ নিউ ইয়র্ক টাইমসের ৩৩ শতাংশ ও হাফিংটন পোস্টের ২৮ শতাংশ ফেসবুক ভিউ এসেছে ট্রাম্পের উপরে লেখা খবর থেকেই।
ফেসবুকে দু'পক্ষের লড়াই
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে লড়াই হলেও তা ছড়িয়ে পড়েছে স্যোশাল মিডিয়াতেও। এক্ষেত্রে বিবদমান দুপক্ষের লড়াইয়ের সবচেয়ে আদর্শ মঞ্চ ছিল ফেসবুক। যদি ফেসবুক পেজে হিলারি, ট্রাম্প, ক্লিন্টন, নির্বাচন ২০১৬ দিয়ে খোঁজা যায় তাহলে দেখা যাবে ফেসবুকে একাধিক নির্বাচন সংক্রান্ত পাতা তৈরি করে বলা যায় একেবারে যেন স্যোশাল মিডিয়া যুদ্ধ লেগে গিয়েছে।
আর এক্ষেত্রেও ফেসবুকের টোটাল এনগেজমেন্টে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন রিপাবলিকাল প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ক্ষেত্রে ফেসবুকের এনগেজমেন্ট ছিল ১ কোটি ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৬১২টি। হিলারি তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে। তার ক্ষেত্রে এনগেজমেন্টের সংখ্যা ৭০ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৬।
ইনস্টাগ্রামের চিত্র
হিলারি ক্লিন্টন হোক অথবা ডোনাল্ড ট্রাম্প, দুজনেই স্যোশাল নেটওয়ার্কিং ফটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামকেও ভালোই ব্যবহার করেছেন। আর এক্ষেত্রেও ডোনাল্ড ট্রাম্প সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। লাইক ও কমেন্টের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৫৯। এদিকে হিলারি অনেকটা পিছিয়ে শেষ করেছেন ২৮ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৪-এ।