ভাত খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস! শুধু মাত্র একটি কাজ করতে হবে
ভাত খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস! শুধু মাত্র একটি কাজ করতে হবে
ডায়াবেটিস (diabetes) কথাটির সঙ্গে আজকাল অনেক মানুষই পরিচিত। এক্ষেত্রে কেউ খাবারের নিয়ন্ত্রণ মানেন। আবার কেউ মানেন না। রক্তে (blood) শর্করার (sugar) পরিমাণ বাড়িয়ে নিয়ে ওষুধ খেয়ে থাকেন অনেকে। তাঁরা বলেন খাবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। বাড়াবাড়ি হলে নিতে হয় ইনসুলিন। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে তখন, যখন রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
দু-ধরনের ডায়াবেটিস
এখনও পর্যন্ত দু ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে। একটি হল ডায়াবেটিস ১ এবং অন্যটি হল ডায়াবেটিস ২। ডায়াবেটিস ওয়ান-এ অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন একেবারেই তৈরি হয় না। অন্যদিকে টাইপ টু ডায়াবেটিস-এ অগ্ন্যাশয়ে খুব কম পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে নিয়ন্ত্রণ
সাধারণভাবে চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে উপদেশ দিয়ে থাকেন। সাধারণভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের ভাত খাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আবার খুব কম করেও ভাত খেতে বলেন চিকিৎসকরা। ভাত খেলে শরীরে কার্বহাইড্রেড বেড়ে যায়, যা শরীরের অর্থাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।
নতুন গবেষণার ফল সামনে
ডায়াবেটিস
রোগীদের
ভাত
খাওয়া
নিয়ে
নতুন
এক
গবেষণা
নিউট্রিশন
অ্যান্ড
ডায়াবেটিস-এ
প্রকাশিত
হয়েছে।
সেখানে
বলা
হয়েছে,
গরম
ভাত
খাওয়ার
পরিবর্তে
ডায়াবেটিস
রোগীরা
যদি
ঠাণ্ডা
ভাত
খান
তাহলে
রক্তে
শর্করার
পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে
রাখা
যায়।
বিদেশের
বিশ্ববিদ্যালয়ে
পোলিশ
গবেষকরা
টাইপ
ওয়ান
ডায়াবেটিস
রোগী-সহ
৩২
জনের
ওপরে
এনিয়ে
পরীক্ষা
চালিয়েছেন।
এক্ষেত্রে
রোগীদের
দুরকমের
খাবার
দেওয়া
হয়েছিল।
খাওয়ার
আগে
গবেষকরা
রোগীদের
রক্তের
শর্করার
মাত্রা
দেখে
নিয়েছিলেন।
এখানে
রোগীদের
লম্বা
চালের
সদ্য
রান্না
করা
ভাত
দেওয়া
হয়।
অন্যদিকে
ভাত
রান্না
করার
পরে
তা
২৪
ঘন্টা
ফ্রিজে
রেখে
তা
গরম
করে
খেতে
দেওয়া
হয়।
আবার
কাউকে
ঠাণ্ডা
করা
ভাত
দেওয়া
হয়।
গবেষকরা
দেখেন,
যেসব
রোগীরা
ঠাণ্ডা
ভাত
খেয়েছিলেন,
তাঁদের
রক্তে
শর্করার
মাত্রা
স্থিতিশীল।
অন্যদিকে
যাঁরা
গরম
ভাত
খেয়েছিলেন,
তাঁদের
রক্তে
শর্করার
মাত্রা
দ্রুত
বাড়তে
দেখা
গিয়েছে।
আবার
যাঁদেরকে
ভাত
২৪
ঘন্টা
ফ্রিজে
রেখে
গরম
করে
দেওয়া
হয়েছে,
তাঁদের
রক্তে
শর্করার
মাত্রা
ধীরে
ধীরে
বাড়তে
দেখা
গিয়েছে।
ঠাণ্ডা ভাতে প্রতিরোধী স্টার্চ
গবেষণায়
জানা
গিয়েছে,
ভাত
ঠাণ্ডা
হলে,
তার
কার্বোহাইড্রেট
রক্কে
শর্করার
পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে
রাখতে
সাহায্য
করে।
গবেষকদের
পর্যবেক্ষণ
গরম
ভাতের
তুলনায়
ঠাণ্ডা
ভাবে
প্রতিরোধী
স্টার্চ
পাওয়া
যায়।
যা
হজম
হতে
বেশি
সময়
নেয়
আর
তা
রক্তে
শর্করার
মাত্রা
ঠিক
রাখতে
সাহায্য
করে।
অন্যদিকে
বিশেষজ্ঞরা
জানিয়েছেন,
ঠাণ্ডা
ভাত
শুধু
ডায়াবেটিস
রোগীদের
জন্যই
উপকারী
নয়,
এর
আরও
অনেক
উপকারী
গুণ
রয়েছে।
ঠাণ্ডা
ভাত
দীর্ঘক্ষণ
পেট
ভর্তি
রাখে।
যা
ওজন
কমাতেও
সাহায্য
করে।