(ছবি) চেনানি থেকে নাশরি : ভারতের দীর্ঘতম টানেল নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য!
জম্মু কাশ্মীরে খুব শীঘ্রই খুলতে চলেছে ভারতের দীর্ঘতম টানেল। চেনানি ও নাশরির মাঝে এই লম্বা টানেল খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ট্রায়াল রান ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
বেঙ্গালুরু, ২১ মার্চ : জম্মু কাশ্মীরে খুব শীঘ্রই খুলতে চলেছে ভারতের দীর্ঘতম টানেল। চেনানি ও নাশরির মাঝে এই লম্বা টানেল খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ট্রায়াল রান ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
এই টানেলের কাজ মার্চ মাসের শেষের দিকেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্মান কর্মী এবং এজেন্সি সংস্থার মধ্যে সমস্যা তৈরি হওয়াতেই কাজ আটকে পড়েছিল। সেই কারণেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি।
এই চেনানি-নিশারি টানেল নিয়ে মানুষের কৌতুহল অনেক। তাহলে আসুন একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভারতের এই দীর্ঘতম টানেল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
তথ্য ১
এই টানেলটির দৈর্ঘ্য ৯.২ কিলোমিটার। এবং এই প্রকল্পে মোট খরচ পড়েছে ৩,৭২০ কোটি টাকা।
তথ্য ২
চেনানি এবং নিশারি সেক্টরের মধ্যে দুরত্ব হল ৪১ কিলোমিটার। কিন্তু এই টানেলের জন্য যাত্রার সময় অনেকটাই কম যাবে। প্রায় ৩১ কিলোমিটার কম রাস্তা পড়বে।
তথ্য ৩
এলএমভি গাড়িতে এক পিঠের ভাড়া পড়বে ৫৫ টাকা আর দুপিঠের ভাড়া লাগবে ৮৫ টাকা। এক মাসের ক্ষেত্রে ভাড়া মেটাতে হবে ১,৮৭০ টাকা।
তথ্য ৪
এই টানেলের মধ্যে ৭৫ মিটার অন্তর মোট ১২৪টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।
তথ্য ৫
এয়ারটেল, আইডিয়া এবং বিএসএনএল টেলিকম সংস্থাগুলির সাহায্যে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকছে। এমনকী ৯২.৭ এফএম রেডিও টানেলের ভিতরেও চালানো যাবে।
তথ্য ৬
এই টানেল যে কোনও মরশুমেই কার্যকর থাকবে। শীতকালে বরফ পড়ুক বা বর্ষাকালে বৃষ্টি এই সুরঙ্গপথ সবসময়ই খোলা থাকবে।
তথ্য ৭
এই টানেলের ফলে দিন প্রতি প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার জ্বালানী তেলের খরচ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় বাঁটানো যাবে।
তথ্য ৮
এই টানেল প্রকল্পের জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের দক্ষ-অদক্ষ ২০০০ তরুণকে কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। মোট কর্মীর ৯৪ শতাংশই রাজ্য থেকে নিয়োগ করা হয়েছে।
তথ্য ৯
এই টানেলে সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টা ধার্য করা হয়েছে।
তথ্য ১০
এই টানেলে ত্রিস্তরীয় আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যা ২৪X৭ কাজ করবে।
তথ্য ১১
জরুরীকালীন অবস্থার জন্য একটি সমান্তরাল ছোট সুরঙ্গ পথও তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ১২
টানেলটি খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন।