গোপন পরিকল্পনা প্রকাশ: বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের একত্রীকরণ চেয়েছিল জঙ্গিরা
এর পাশাপাশি ভারত জামাত-এ-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দুটি মূল প্রশিক্ষণ শিবির নিয়েও মুখ খুলবে। এই দুই শিবিরের এরটি বান্দরবন ও অপরটি চিটাগং। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি তৈরি করা হয়েছিল মডিউল গঠনের উদ্দেশ্যে, মূলত পশ্চিমবঙ্গে মডিউল গঠনের উদ্দেশ্যে। এই জঙ্গী ক্যাডাররা প্রথমে মধ্যমগ্রামে ঢোকে তারপর সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে তাদের মডিউল গঠন করে , ভারতীয় দলিল অন্তত তাই বলছে।
ভারতীয় দলিলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্তের গতিবিধি নিয়েও যেমন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়া হবে তেমনই বাংলাদেশের কিছু দলছুট গোষ্ঠী যারা ভারতে সম্ভবত মডিউল গঠন করছে তাদের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। ৩ নভেম্বরের মধ্যে এই দলিল বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
জেএমবি-র হয়ে যে সব দলছুট গোষ্ঠীগুলি কাজ করছে তাদের একটি তালিকা বানিয়েছে ভারত
জেএমবি-র হয়ে যে সব দলছুট গোষ্ঠীগুলি কাজ করছে তাদের একটি তালিকা বানিয়েছে ভারত। আনসারুল্লা বাংলা, জামায়াতুল মুসলীমীন, হেপাজত ইসলাম এবং তানজিম তামিরুদ্দিন হল উল্লেখযোগ্য দলছুট গোষ্ঠা য়ারা জামাতকে সহায়তা প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
এছাড়াও এই দলিলে বলা হবে এই দলগুলি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে এবং এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিতে মদত দিয়ে আরও সমস্যা তৈরি করছে। এছাড়াও বাংলাদেশের কাছে এই সব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মদতে উপমহাদেশে আল কায়েদার উপস্থিতির সম্ভাবনার বিষয়টিও উল্লেখ করা হবে। সংগঠনের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গ মুসলিমের অভ্যুত্থানের বিষয়টিও জানানো হবে।
পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস শিবির নিয়েও তথ্য থাকবে ভারতের দলিলে
বন্দরবন এবং চিটাগংয়ে শিবির নিয়ে তথ্য প্রদান হবে ভারতীয় দলিলে। বলা হবে এই শিবিরগুলি নিষ্ক্রিয় করা প্রয়োজন। এখানেই জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে, অসমে, মেঘালয়ে পাঠানো হয়। অনুপ্রবেশ রুখতেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবল সহযোগিতার যে প্রয়োজন রয়েছে তাও ভারতের তরফে জানানো হবে।
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি জঙ্গীদের ভারতে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে
অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুরুত্ব পাচ্ছে। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ প্রয়াস এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের আরও সজাগ হতে একত্রে কাজ করতে হবে। আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি জঙ্গীদের ভারতে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মুসলিম রাষ্ট্র তৈরির প্রয়োজনীয়তায় এই ধরণের মডিউলগুলি আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।