ভারতের ৪৫ কোটি মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে 'মৌলিক কাজকর্ম' সারে
সারা দেশে যেখানে স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযান চলছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে, সেখানে মৌলিক কাজকর্ম সারতে এখনও খোলা জায়গাই বেছে নিচ্ছেন দেশের ৪৫ কোটি মানুষ।
সারা দেশে যেখানে স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযান চলছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে, সেখানে মৌলিক কাজকর্ম সারতে এখনও খোলা জায়গাই বেছে নিচ্ছেন দেশের ৪৫ কোটি মানুষ। কেন্দ্রের তরফে এক আধিকারিক একথা স্বীকার করেছেন।
সবচেয়ে দুর্গন্ধযুক্ত 'পাবলিক টয়লেট' : সারা দেশে 'ফার্স্ট বয়' কলকাতা
পৃথিবীর এই দেশগুলিতে কাজের সুযোগ অফুরন্ত, তবে অভাব কর্মীর!
তিনি জানিয়েছেন, এখনও দেশের ৪৫ কোটির কাছাকাছি জনসংখ্যা শৌচকর্ম করেন খোলা আকাশের নিচে। তবে তিনি একইসঙ্গে এটাও জানিয়েছেন যে, স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযান যেভাবে এগোচ্ছে তাতে খুব শীঘ্র এই সংখ্যাটি অনেকটা কমে আসবে।
পরিসংখ্যান বলছে, সারা পৃথিবীতে যত মানুষ খোলা আকাশের নিচে মৌলিক কাজকর্ম সারেন তার অর্ধেক মানুষই ভারতের বাসিন্দা। মানসিকতার বদল হলেও এক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কেমন বায়োডেটা পছন্দ করেন অফিস এমপ্লয়াররা? জেনে নিন কী বলছে সমীক্ষা
ভারতে এখনও ক্রীতদাস প্রথায় বাধ্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ
কেন্দ্রের পানীয় জল ও স্যানিটেশন মন্ত্রকের সচিব পরমেশ্বরণ আইয়ার জানিয়েছেন, স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযানের সাফল্য এলেই দেশ এই সমস্যা থেকে মুক্ত হবে।
এক সমাবেশ উপস্থিত হয়ে তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে কেন স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযানের সাফল্যের গুরুত্ব রয়েছে তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, স্যানিটেশনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে কারণ দেশের ১৩ শতাংশ শিশু ডায়রিয়ার কারণে মারা যায়। তাই ভারতকে উন্নতির পথে শামিল করতে গেলে স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযানকে সফল করতেই হবে।
কেন্দ্রের তরফে জিলা স্বচ্ছ্ব বারত প্রেরক নামে একটি উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। এতে সহায়তা করছে টাটা ট্রাস্ট। স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযানের অন্তর্গত স্যানিটেশন প্রক্রিয়াকে ঘরে ঘরে প্রচার ও পৌঁছে দিতে তরুণ যুবক-যুবতীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
টাটার তরফে মোট ৬০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। তাদের বেতন দেবে টাটা কর্তৃপক্ষ। এই যুবক-যুবতীরা কেন্দ্রের প্রশাসনের সঙ্গে থেকে এই উদ্যোগকে সফল করার প্রয়াস চালাবে। এই উদ্যোগে টাটার মতোই অন্য শিল্পসংস্থাগুলিও যাতে এগিয়ে আসে সেজন্য তাদের আহ্বানও জানানো হয়েছে।