পাক ক্রিকেটারে বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের ইসলামাবাদে
ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্ধ পাকিস্তানি বোলার ইয়াশির শাহ। ইয়াশির এবং তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে ১৪ বছরে এক নাবালিকা'কে হেনস্থা এবং বন্দুকের ডগায় ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তান পেনাল কোডের ২৯২-বি এবং ২৯২-সি এবং ৩৭৬ ধারায় ইসলামাবাদের শালিমার পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

পাক ক্রিকেটার এবং তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে দায়ের করার অভিযোগের বয়ানে ১৪ বছরের নাবালিকা জানিয়েছে, ইয়াশির এবং ফারহান (ইয়াশিরের বন্ধু) জোর করে বন্দুকের নলের ডগায় তাঁকে ধর্ষন করে এবং ধর্ষনের সেই ভিডিও ক্যামেরি বন্দি করেন। পাশাপাশি এই ঘটনার কথা যাতে বাইরে না আসে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে কিশোরী'কে ভয়ও দেখিয়েছেন ইয়াশির।
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এফআইআর-এ লেখা রয়েছে, 'ইয়াশির শাহ ওই কিশোরী'কে বলেছিলেন, তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং একাধিক উচ্চ পদস্থ পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকের সঙ্গে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ইয়াশির এবং ফারহান এক নাবালিকা'কে ধর্ষন করে সেই ভিডিও বানিয়েছে। ঘটনার কথা বাইরে জানাজানি হলে মৃত্যু ভয় পর্যন্ত দেখানো হয়েছিল।'
ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়েছে। পুলিশের বয়ানে, "মেডিক্যাল চেকআপের রিপোর্ট এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তদন্ত এগবে। যদি ধর্ষনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় তা হলে আইনি ব্যবস্থা যথাযথ ভাবে নেওয়া হবে।"
এই পুরো ঘটনা শুধু পাকিস্তান ক্রিকেটকেই কালিমালিপ্ত করেনি, প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সেই দেশের ক্রিকেটার চরিত্রের উপর। তরুণ প্রজন্ম এঁদের অনেককেই আদর্শের চোখে দেখে। গোটা ঘটনার উপর নজর রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা পিসিবি'র। রামিজ রাজা'র বোর্ড এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "বর্তমানে পুরো ঘটনার বিষয়ে বিস্তারে তথ্য জোগাড় করছে পিসিবি এবং সমস্ত তথ্য বিচার করেই এই বিষয়ে কোনও রকম মন্তব্য করবে বোর্ড।"
শুধু পাকিস্তান ক্রিকেটেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের পরিচিত নাম ইয়াশির শাহ। ২০১৪ থেকে পাক দলের অন্যতম ভরসার জায়গা এই লেগ স্পিনার। ৪৬টি টেস্টে পাকিস্তানের জার্সিতে ২৩৫টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন ইয়াশির। তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৮/৪১। টেস্টে একটি শতরানও রয়েছে তাঁর।
টেস্টের মতো ওডিআই ফর্ম্যাটে বেশি সুযোগ না পেলেও যতটা খেলেছেন তাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইয়াশিরের উইকেট সংখ্যা ২৪। সেরা বোলিং ফিগার ৬/২৬। দু'টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেললেও একটিও উইকেট পাননি।