২০১১-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের প্রথম একাদশে ছিলেন কোন কোন ক্রিকেটার, কেমন ছিল পারফরম্যান্স
২০১১-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের প্রথম একাদশে ছিলেন কোন কোন ক্রিকেটার, কেমন ছিল পারফরম্যান্স
১০ বছর আগে ২৮ বছরের জ্বালা জুড়িয়েছিল ভারতবাসীর। ২ এপ্রিল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ হাতে তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচেরই চর্চা চলছে দেশজুড়ে। তারই ফাঁকে দেখে নেওয়া যাক, সেদিনের ফাইনালে কেমন ছিল টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশ। কে কেমন পারফরম্যান্স করেছিলেন, সেদিকেও চোখ রাখা যাক।
শুরুতে কিংবদন্তি সচিনের সঙ্গে শেহওয়াগ
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলা লিজেন্ড সচিন তেন্ডুলকর সেদিন কিংবদন্তি বীরেন্দ্র শেহওয়াগের সঙ্গে ভারতের ইনিংস শুরু করেছিলেন। ১৪ বলে ১৮ রান করে লাসিথ মালিঙ্গার বলে আউট হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। মেরেছিলেন ২টি চার। তাঁর ওপেনিং পার্টনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ অবশ্য সেই ম্যাচে মাত্র ২ বল খেলে কোন রান না করেই সেই মালিঙ্গার শিকার হয়েছিলেন।
ফার্স্ট ডাউনে গম্ভীর
সেই হাই-ভোল্টেজ ফাইনালে ভারতের হয়ে ফার্স্ট ডাউনে নেমেছিলেন বাঁ-হাতি গৌতম গম্ভীর। টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৮৭ মিনিট ব্যাট করে ১২২ বলে ৯৭ রানে রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন গাউতি। মেরেছিলেন ৯টি চার। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও প্রথমে বিরাট কোহলির সঙ্গে ৮৩ ও পরে এমএস ধোনির সঙ্গে ১০৯ রানের পার্টনারশিপ করে ভারতকে বিশ্বকাপ জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর।
বিরাট কোহলি নেমেছিলেন চারে
২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও সচিন তেন্ডুলকরের অভাব পূরণ করতে সেদিনের ম্যাচে চারে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলির সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হয়েছিল। ৪৯ বলে ৩৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান অধিনায়ক।
ম্যাচ উইনার ধোনি
যুবরাজকে থামিয়ে সেদিন নিজে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন এমএস ধোনি। ৭৯ বলে ৯১ রান করার পাশাপাশি ছক্কা হাঁকিয়ে দেশের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন মাহি। আটটি চার ও ২টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
যুবরাজ নেমেছিলেন ছয়ে
হাই-ভোল্টেজ ওই বিশ্বকাপ ফাইনালে এমএস ধোনির সঙ্গে ছোট অথচ ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েছিলেন বাঁ-হাতি যুবরাজ সিং। তিনি সেদিন ২৪ বলে ২১ রান করেছিলেন। মেরেছিলেন ২টি চার। সেদিন বল হাতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা (৪৮) ও থিলান সামারাবীরার (২১) উইকেটও নিয়েছিলেন যুবি। সিরিজ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি অল রাউন্ডার।
সাতে তরুণ রায়না
২০১১-র ওই বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যাট হাতে কেরামতি দেখানোর সুযোগ পাননি সুরেশ রায়না। সেদিন তাঁর সাত নম্বরে নামার কথা ছিল।
বোলিং বিভাগ
সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতের বোলিং বিভাগকে সম্বৃদ্ধ করেছিলেন জাহির খান, এস শ্রীসন্থ, মুনাফ প্যাটেল ও হরভজন সিং। সেদিন ২ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি জাহির। এক উইকেট নিয়েছিলেন মুনাফ প্যাটেল। কোনও উইকেট পাননি হরভজন সিং ও এস শ্রীসন্থ।