এক নজরে টেস্ট ক্রিকেটে সেরা পাঁচটি অঘটন
এক নজরে টেস্ট ক্রিকেটে সেরা পাঁচটি অঘটন
বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড'কে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে চমক দিয়েছে বাংলাদেশ। সাত মাসও হয়েনি কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে কিউয়ি'রা। এরই মধ্যে আইসিসি'র ক্রমতালিকায় প্রায় তলানিতে (নমব স্থান) থাকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে পঁচা শামুকে পা কেটেছে নিউজিল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সব থেকে বড় অঘটন হিসেবে এটিকে উল্লেখ করলেও ভুল হবে না। এক ঝলকে দেখে নিন টেস্ট-এর ইতিহাসে সেরা পাঁচ অঘটন।
জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে সাত উইকেটে পাকিস্তানের হার, পেশওয়ার, ১৯৯৮:
১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সফরে অলিস্টার ক্যাম্পবেলের নেতৃত্বে পাকিস্তান সফরে এসেছিল জিম্বাবয়ে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি পেশওয়ারে আয়োজি হয়েছিল। এই ম্যাচে ৭ উইকেটে পাকিস্তান'কে হারায় আফ্রিকার দেশটি। জিম্বাবয়ের হয়ে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন নিল জনসন। মূল তাঁর একক দক্ষতায় ম্যাচটি জিতেছিল জিম্বাবয়ে। এই ম্যাচ জেতার সুবাদে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছিলেন গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার'রা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ১০৮ রানে জয়, ঢাকা, ২০১৬:
২০১৬ সালে ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিধর ইংল্যান্ড'কে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১০৮ রানে পরাজিত করে বাংলাদেশ। শুরুটা খারাপ ছিল না ইংল্যান্ডের। মইন আলির পাঁচ উইকেটের সৌজন্যে ২২০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। একমাত্র তামিম ইকবাল (১০৪) সেই ইনিংসে রান পেয়েছিলেন। জবাবে ভাল খেলতে পারেনি ইংল্যান্ডও। জো রুটের অর্ধশতরান এবং পরবর্তীতে আদিল রশিদ এবং ক্রিস ওকসের ব্যাটে ভর করে ২৪ রানের লিড নেয় ব্রিটিশ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইমরুল কাইস, শাকিব, মাহমদুল্লাহ, তামিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ম্যাচে ফেরত আসে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ২৭৩ রানের টার্গেট রাখে তারা। ইংল্যান্ডও শুরুটা ভাল করেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ২২.৩ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ছিল ১০০-০। কিন্ত মেহদি হাসান মিরাজের পাঁচ উইকেট ১৬৪ রানে শেষ করে দেয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ১০৮ রানে জয় তুলে নেয় প্রতিবেশী দেশটি।
জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে ২৪ রানে হার পাকিস্তানের, হারারে, ২০১৩:
২০১৩
সালে
জিম্বাবয়ে
সফরে
বিধ্বস্ত
হতে
হয়
তারকাখচিত
পাকিস্তান
দলকে।
দুই
ম্যাচের
টেস্ট
সিরিজের
প্রথম
ম্যাচ
ভাল
ভাবে
জিতলেও
দ্বিতীয়
টেস্টে
তৎকালীন
আইসিসি
ক্রমতালিকায়
নয়
নম্বরে
থাকা
দলের
বিরুদ্ধে
হোঁচট
খায়
পাক
দল।
হ্যামিলটন
মাসাকাডজা,
ব্রেন্ডন
টেলরের
অর্ধ-শতরানের
উপর
ভর
করে
প্রথমে
ইনিংসে
স্কোর
বোর্ডে
২৯৪
রান
তোলে
জিম্বাবয়ে।
ব্যাটসম্যানদের
মতোই
নিজেদের
কাজটা
ঠিক
মতো
করায়
পাকিস্তান'কে
২৩০
রানে
আটকে
দেয়
আফ্রিকা'র
দলটি।
একাই
পাঁচ
উইকেট
নেন
ব্রায়ান
ভিটোরি।
৬৪
রানের
লিড
নিয়ে
দ্বিতীয়
ইনিংস
শুরু
করলেও
রাহাত
আলি'র
পাঁচ
উইকেটের
দৌলতে
জিম্বাবয়'কে
১৯৯
রানে
আটকে
দেয়
পাকিস্তান।
সিরিজ
পকেটে
পুরতে
২৬৪
রানের
টার্গেট
তাড়া
করতে
নেমে
একের
পর
এক
উইকেট
হারায়
পাকিস্তান।
একাই
পাঁচ
উইকেট
নেন
জিম্বাবয়ের
তেন্ডাই
চাতারা।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে হার শ্রীলঙ্কার, কলম্বো, ২০১৬:
তৎকালীন শ্রীলঙ্কা দল বর্তমান দলের মতো এতটা দুর্বল ছিল না। রঙ্গনা হেরথের দলকে কলম্বোর পি. সারা ওভাল স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ। দীনেশ চান্ডিমানে ১৩৮ রানের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৬৭ রানে। শতরান করেন শাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে দিমুথ করুনারত্ন শতরান করলেও ৩১৯ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯১ রান তুলতে মাত্র ৬ উইকেট খরচ করে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আট উইকেটে বাংলাদেশের জয়, বে ওভাল, ২০২২:
টেস্ট ক্রিকেটের সব থেকে বড় অঘটন হিসেবে বাংলাদেশের এই জয় ব্যাখ্যা করলে খুব একটা ভুল হবে না। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোনও দিনই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নয়। তবুও পঁচা শামুকেও পা কাটে। আর সেটাই ঘটল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। ইবাদাত হোসেনের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে আট উইকেটে হারতে হল টেস্ট ক্রিকেটে সদ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিউজিল্যান্ড'কে।