চোকার্স তকমা বজায় রেখেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা, অবিশ্বাস্য হার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে
চোকার্স তকমা বজায় রেখেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা, অবিশ্বাস্য হার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে
চোকার্স তকমা ঘোচাতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা, মাস্ট উইন ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। অবিশ্বাস্য হারে বিশ্বকাপ অভিযান কার্যত শেষ হয়ে গেল প্রোটিয়া বাহিনীর। দক্ষিণ আফ্রিকার এই হারের ফলে সেমিফাইনালে পৌঁছানোর সুবর্ণ সুযোগ হঠাৎ করেই তৈরি হয়ে গেল পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সামনে। দিনের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে দল জিতবে সেই দলই পৌঁছে যাবে শেষ চারে। একমাত্র বৃষ্টির কারণে সেই ম্যাচ যদি পরিত্যক্ত হয় তা হলেই রান রেটের হিসেবে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে, সেই সম্ভাবনা না-এর বরাবর।
এ দিন টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এই ম্যাচে আন্ডারডগ হিসেবে নেদারল্যান্ড শুরু করলেও ম্যাচের প্রথণ ভাগ থেকেই তাঁদের খেলায় লড়াই দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্যণীয় ছিল। এই ম্যাচটির কোনও গুরুত্ব নেই নেদারল্যান্ডসের কাছে। একমাত্র জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করাই তাঁদের লক্ষ্য। তবে, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। সেমিফাইনালে পৌঁছতে হলে যে কোনও মূল্যে এই ম্যাচ থেকে জয় এবং দু'টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দরকার ছিল প্রোটিয়া বাহিনীর।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়ে দারুণ ভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগায় নেদারল্যান্ডস। কাগিসো রাবাডা এনরিচ নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডির মতো বিশ্বে অন্যতম সেরা পেস লাইনআপের বিরুদ্ধে মনে রাখার মতো খেলেন ডাচ ব্যাটসম্যানরা। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২৬ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেন কলিন অ্যাকারম্যান। ৩টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস তিনি সাজিয়েছিলেন। দুই ওপেনার স্টিফেন মাইবার্গ করেন ৩৭ রান এবং ম্যাচ ওদদ করেন ২৯ রান। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে আসা টপ কুমারের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। ইনিংসের শেষে ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস লাইন সারা বিশ্বের অন্যতম সেরা। সেই পেসারদেরই এই ম্য়াচে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি ডাচ ব্যাটসম্যানরা। ওয়েন পার্নেল, কাগিসো রাবাডা, লুঙ্গি এনগিডিরা একটি উইকেটও পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দু'টি উইকেট পান কেশব মহারাজ এবং একটি করে উইকেট পান এনরিচ নরকিয়া এবং এইডেন মার্করমা।
১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সমাপ্ত হয় ১৪৫/৮ রানে। যেই ম্যাচে কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, ডেভিড মিলার, হেনরিচ ক্লাসেনের ব্যাটের কথা বলার প্রয়োজন ছিল সেই দিনই কেউ দাঁড়াতে পারলেন না। এমনটা নয় যে শুরুতেই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছে। প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই স্টার্ট পেয়েছিলেন কিন্তু সেটাকে বড় ইনিংসে পরিণত করতে পারেননি। কুইন্টিন ডি কক, ডেভিড মিলার. টেম্বা বাভুমা, এইডেন মার্করামের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং আশা করা যায় না। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ব্র্যান্ডন গ্লোভার তিনটি উইকেট নেন, ২টি উইকেট নেন ভান ডি লিড, ১টি উইকেট নেন পল ভান মিকিরন।