বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় দিন, পূজারার লজ্জার রেকর্ডের পরও পিঠ চাপড়ে দিলেন দ্রাবিড়!
সেঞ্চুরিয়নে বৃষ্টির কারণে ধুয়ে গেল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। মাঠের নিকাশি ব্যবস্থা থাকলেও আউটফিল্ডে ভালোই জল জমে রয়েছে টানা বৃষ্টি চলতে থাকায়। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ দিন খেলায় বৃষ্টির প্রভাব সেভাবে থাকবে না। তবে শেষদিনে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরই মধ্যে চর্চায় চেতেশ্বর পূজারার খারাপ ফর্ম।
|
গোল্ডেন ডাক
গতকাল ময়াঙ্ক আগরওয়াল আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন পূজারা। লুঙ্গি এনগিডির বল ফ্রন্টফুটে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় খেলতে গেলে ক্যাচ উঠে যায়। ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে কিগান পিটারসেন ক্যাচ তালুবন্দি করতে কোনও ভুল করেননি। শেষ তিনটি ইনিংসে দ্বিতীয়বার পূজারা আউট হলেন শূন্য রানে। শেষ কয়েকটি ইনিংসে একেবারেই চেনা ছন্দে না থাকায় ২০১২ সালের পর এই প্রথম পূজারার টেস্টে ব্যাটিং গড় ৪৫-এর নীচে নেমে গিয়েছে।
|
লজ্জার রেকর্ড
এখানেই শেষ নয়। এই নিয়ে তিন নম্বরে টেস্টে ব্যাট করতে নেমে নবমবার পূজারা শূন্য রানে আউট হলেন। ২০১৮ সালেও সেঞ্চুরিয়নেই বক্সিং ডে টেস্টে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন, সেবারও তাঁকে আউট করেন লুঙ্গি এনগিডি। গতকাল শূন্যে আউট হওয়ায় লজ্জার রেকর্ডে তিনি পিছনে ফেললেন দিলীপ বেঙ্গসরকারকে। তিনে নেমে বেঙ্গসরকার আটবার শূন্যে আউট হয়েছিলেন, পূজারা হলেন ৯ বার। বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় টেস্টে ৭ বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। গতকাল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পর পোশাক পরিবর্তন করে ড্রেসিংরুমে জসপ্রীত বুমরাহ ও প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পূজারাকে। তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন দ্রাবিড়। দ্রাবিড় পূজারার পিঠ চাপড়ে দেন। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি উঠেছে, পূজারাকে এবার বাদ দেওয়া হোক!
|
সমস্যা পিছনের পা
পূজারা তাঁর প্রথম ৩৮টি টেস্ট ইনিংসে শূন্যে আউট হননি। গতকাল নিয়ে টেস্টে ১১ বার তিনি শূন্যে আউট হলেন। ২০১৫ সালে কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে এবং গত বছর অ্যাডিলেডে অজিদের বিরুদ্ধে চারে নেমে তিনি কোনও রান না করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। দেখা যাচ্ছে, ফ্রন্টফুটে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় খেলার সময় পূজারার পিছনের পা ঠিকঠাক থাকছে না। ২০১৮ সাল থেকেই এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। সে কারণে ফ্রন্টফুট ডিফেন্ডিং করতে গিয়ে ৬৫টি টেস্ট ইনিংসে তিনি ২৯ বার আউট হয়েছেন। পিছনের পা যেভাবে নীচু হয়ে যাচ্ছে তাতে যে পিচে বাউন্স নেই সেখানে সমস্যা হবে না। কিন্তু বাউন্স থাকলেই সমস্যা বাড়বে। ফ্রন্টফুট ডিফেন্স করতে গিয়ে ৪০.৩ বল অন্তর তিনি আউট হচ্ছেন বলে পরিসংখ্যানে ধরা পড়ছে।
|
বেশিবার ডাক
দক্ষিণ
আফ্রিকায়
পূজারা
এই
নিয়ে
টেস্টে
তিন
নম্বরে
ব্যাট
করতে
নেমে
দুবার
শূন্যে
ফিরলেন।
যে
দুই
ভারতীয়
ব্যাটার
পূজারার
আগে
প্রোটিয়াদের
দেশে
তিনে
নেমে
টেস্টে
শূন্যে
আউট
হয়েছেন
তাঁরা
হলেন
সঞ্জয়
মঞ্জরেকর
(১৯৯২)
ও
সৌরভ
গঙ্গোপাধ্যায়
(১৯৯৬)।
দিলীপ
বেঙ্গসরকার
১৫
বার,
কপিল
দেব
ও
বীরেন্দ্র
শেহওয়াগ
১৬
বার
টেস্টে
শূন্যে
আউট
হয়েছেন।
টেস্টে
সবচেয়ে
বেশিবার
শূন্যে
আউট
হওয়ার
নজির
রয়েছে
ওয়েস্ট
ইন্ডিজের
কোর্টনি
ওয়ালশের
(৪৩)।
ভারতীয়দের
মধ্যে
সবচেয়ে
বেশি
শূন্যে
আউট
হয়েছেন
ইশান্ত
শর্মা
(৩৪)।