সচিনকে আউট করে কোন বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার
মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরকে আউট করে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। আইপিএলে যে দলের হয়ে খেলতেন ওঝা, সেই দলের মালিক তাঁকে এই পুরস্কার দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওঝা। সেই ঘটনা এবং ওই পুরস্কার তাঁর জীবনের স্মরণীয় অধ্যায়ের একটি বলে দাবি প্রজ্ঞানের।

পৃথিবী সদৃশ গ্রহ
এই প্রথম মহাকাশ গবেষকরা একটি সৌরজগতের খোঁজ পেয়েছেন যা একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এবং যে সাতটি গ্রহ পাওয়া গিয়েছে প্রত্যেকটিই প্রায় পৃথিবীর আকারের। মহাজাগতিক বিশ্বে প্রাণের সন্ধান পাওয়ার জন্য এই নক্ষত্রগুলিই সেরা জায়গা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি যেখানে এলিয়েনদের খোঁজ নাও পাওয়া যায়, তবুও সৌরজগতের গবেষণায় দিগন্ত খুলে দিতে পারে এই সৌরজগত।

সচিনের উইকেট নিয়েছিলেন প্রজ্ঞান
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএলে ডেকান চার্জার্সের (বর্তমানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) হয়ে খেলেছিলেন প্রজ্ঞান ওঝা। ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এক ম্যাচে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝা। মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর, জেপি ডুমিনি ও শিখর ধাওয়ানের উইকেট নিয়েছিলেন ওঝা।

৩৯ আলোকবর্ষ দূরত্ব
যদি এক আলোকবর্ষ গতিতেও পৃথিবী থেকে এই নতুন সৌরজগতের দিকে ধাবমান হওয়া যায় তাহলেও সেখানে পৌঁছতে ৩৯ আলোকবর্ষের কিছুটা বেশি সময় লাগবে। তবে মহাকাশে যত এমন ধরনের জগতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে TRAPPIST-1 অনেক কাছে অবস্থান করছে তাতে সন্দেহ নেই। অর্থাৎ ধরাছোঁয়ার মধ্যে এটিই রয়েছে।

বিশেষ পুরস্কার
প্রজ্ঞান ওঝা জানিয়েছেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ খেলতে নামার আগে ডেকান চার্জার্সের (বর্তমানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) মালিক তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট নিলে ওঝাকে বিশেষ পুরস্কার দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন ওই ফ্রাঞ্চাইজি মালিক। দলের মালিকের কাছ থেকে তিনি উপহার হিসেবে হাত-ঘড়ি চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার।

TRAPPIST-1 এর বিবরণ
TRAPPIST-1 একটি শীতল বামন নক্ষত্র। আমাদের সূর্যের চেয়ে আকারে ১০ গুণ ছোট ও তাপমাত্রা সূর্যের চেয়ে এই TRAPPIST-1 নক্ষত্রে ২.৫ গুণ কম। এই ধরনের সৌরজগতে প্রাণের অস্বিত্ব নিয়ে আগামিদিনে গবেষণা করবেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

পুরস্কার পেয়েছিলেন ওঝা
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে অধিনায়ক তথা মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট নিয়েছিলেন প্রজ্ঞান ওঝা। এরপর প্রতিশ্রুতি মতো দলের মালিকের কাছ থেকে তিনি দামী হাত-ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন প্রজ্ঞান ওঝা।

গ্রহগুলির অবস্থান বেশ কাছাকাছি
TRAPPIST-1 সৌরজগতে গ্রহগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করে ঘুরে চলেছে। সূর্য ও বুধের মধ্যে যে ন্যূনতম দূরত্ব, সেই দূরত্বের মধ্যে পুরো TRAPPIST-1 সৌরজগতের অবস্থান। আর সেজন্যই নক্ষত্রের তাপ তেমন না হলেও কাছাকাছি থাকায় কম উত্তাপের কারণে গ্রহগুলিতে পরিমাণমতো তাপ এসে পৌঁছয়।
তবে নক্ষত্রের এত কাছাকাছি থাকার বিপদও রয়েছে। যেমন নক্ষত্রের আলো ও রেডিয়েশন গ্রহগুলির আবহাওয়ার ক্ষতি করতে পারে (যদি গ্রহগুলিতে আবহাওয়া আদৌও থাকে)। এছাড়া সেখানে প্রাণ থাকলে তারও ক্ষতি হতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, TRAPPIST-1 যেহেতু অত্যন্ত শান্ত একটি নক্ষত্র তাই তার রেডিয়েশন ও আলো সেভাবে ক্ষতিকর হবে না, যতটা না আমাদের সূর্য।

প্রজ্ঞান ওঝার কেরিয়ার
ভারতের হয়ে ২৪টি টেস্ট, ১৮টি ওয়ান ডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলা প্রজ্ঞান ওঝা তিন ফর্ম্যাটে যথাক্রমে ১১৩, ২১ ও ১০টি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএলে তিনি ডেকান চার্জার্স এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে খেলেছেন।

এই গ্রহগুলিতে দিন-রাত নেই
যেহেতু গ্রহগুলি নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে, তাই তার প্রদক্ষিণ করার ধরণ আমাদের সৌরজগতের চেয়ে আলাদা। গ্রহগুলি নিজে ঘূর্ণির মতো না ঘুরে স্থির থেকে শুধুমাত্র সৌরজগতের কক্ষকথে প্রদক্ষিণ করে। এর ফলে নক্ষত্রটির তাপে একটি দিক সবসময়ই উষ্ণ থাকে, অন্যদিক অপেক্ষাকৃত শীতল। অর্থাৎ একটিদিক সবসময় উষ্ণ ও আলোকিত থাকে ও অন্যদিক শীতল ও আলোকহীন।

গ্রহগুলিকে নিয়ে অনিশ্চয়তা
মহাকাশ গবেষকরা গ্রহগুলিকে খুঁজে নিজের চোখে দেখতে পাননি। 'ট্রানজিশন মেথড' ব্যবহার করে এর খোঁজ লাগানো হয়েছে। এছাড়া হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ও জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এদের সন্ধান করা হয়েছে। যেহেতু গ্রহগুলি একে অপরের একেবারে কাছাকাছি অবস্থান করছে, তাই তার অবস্থান ব্যাখ্যা করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রহ বসবাসযোগ্য। তবে তা আদৌও কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
করোনা নিয়ে চিন্তার মাঝে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের বাড়িতে হানা