গলে ফিক্স করা হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্টের পিচ! আল-জাজিরার অন্তর্তদন্তে চাঞ্চল্যকর দাবি
ফের সামনে উঠে এল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। এবার কোনও দলের প্লেয়ারকে স্পট ফিক্স বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য বাছা হয়নি। পিচ কিউরেটারকে দিয়ে পিচ খারাপ করিয়ে করা হয়েছে ম্যাচ ফিক্সিং।
ম্যাচ ফিক্সিং থেকে কী আদৌ মুক্তি পেয়েছে ক্রিকেট? উত্তরটা হয়তো এখনও না। অন্তত এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা-র প্রকাশিত হওয়া খবর থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আল-জাজিরার দাবি, গোপন ক্যামেরায় নিয়ে অভিযান চালিয়ে তারা জানতে পরেছেন গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে দু'টি টেস্ট ম্যাচ ফিক্স করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার একটি টেস্ট এবং ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কার একটি টেস্ট। এই দু'টি ম্যাচই খেলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার গলে।
তদন্ত থেকে উঠে এসেছে ২০১৮ সালে গলে শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ডের একটি টেস্টও ফিক্স করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। স্টিং-অপারেশনের ভিডিও দেখে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে আইসিসিও।
আল-জাজিরার দাবি মুম্বইয়ের এক বুকি, যে ভারতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও যুক্ত ছিল একটা সময়, সেই এই বেটিংয়ের মূল চক্রী। রবিবার নিজেদের তদন্তের ভিডিও প্রকাশ করে এই আল-জাজিরা।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, পরিচয় গোপন করে এই অভিযানে অংশ নেওয়া সাংবাদিককে তিনি বলেন যে তিনি গলের গ্র্যাউন্ডসম্যানকে বেশ মোটা টাকা দিয়েছিলেন পিচ বিকৃতি করার জন্য।
ভিডিওটিতে আরও দেখা যাচ্ছে গল স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর এবং সহকারী ম্যানেজার থরঙ্গা ইন্ডিকা জানান যে, সে বিভিন্ন রকমের পিচ করতে পারেন। যা বোলার এবং ব্যাটসম্যান উভয়কেই সাহায্য করবে।
সংবাদ সংস্থাটির প্রকাশ করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে গল স্টেডিয়ামের প্রধান গ্রাউন্ডম্যান এবং সহকারী ম্যানেজার থরঙ্গা ইন্ডিকা বলেন, 'আপনি যদি স্পিন ট্র্যাক চান বা পেস সহায়ক উইকেট চান বা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট চান, সেই রকমও আমরা করতে পারি।'
সংস্থাটির দাবি নিজেদের মধ্যে এই বৈঠক গলেরই একটি হোটেলে সেরে ছিল বুকিরা। অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রে ইন্ডিকা বলেন, 'পাঁচ দিনের টেস্টের জন্য আমরা রোলারের ব্যবহার না করে খারাপ পিচ তৈরি করি। এই ভাবেই আমরা স্পিনিং ট্র্যাক বানাই।'
এই পিচ থেকে নিশ্চিত ছিল ম্যাচ পাঁচ দিনের হবে না এবং ড্র-ও হবে না। ফলে রেজাল্ট যে একটা হবে তা নিশ্চিত ছিল। এবং তেমনটাই হয়েছিল ম্যাচের ক্ষেত্রেও।
ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচের কথা তুলে এনে ইন্ডিকা বলেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানানো হয়েছিল ভারতের জন্য। রোলারের ব্যবহার করে এবং প্রচুর পরিমাণ জল ঢেলে উইকেট শক্ত করা হয়েছিল।'
বাস্তবে এই ম্যাচে সুবিধা পেয়েছিল ভারতই। প্রথম ইনিংসে ৬০০ রানের বেশি তোলে ভারত এবং ম্যাচ ফিক্সাররা প্রচুর টাকা তুলে নেয় এর ফলে।
ম্যাচ ফিক্সারের থেকে পরবর্তী কোনও ম্যাচ ফিক্স করার পরিকল্পনা আছে কি না, জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মধ্যে কার যে টেস্ট গলে হওয়ার কথা রয়েছে, তা ফিক্স করা হবে।
সাংবাদিক
পিচ
কিউরেটর
ইন্ডিকাকে
জিজ্ঞাসা
করেন,
ম্যাচটি
চার
দিনে
শেষ
হয়ে
যাবে
কি
নৈ।
জবাবে
ফিক্সিংয়ের
সঙ্গে
ভাল
ভাবে
জড়িত
ইন্ডিকা
হেসে
বলেন,
'আমি
আড়াই
দিনের
ম্যাচ
গুটিয়ে
দিতে
পারি।'
যদিও
এই
বিষয়ে
এখনও
সরকারী
ভাবে
কোনও
মন্তব্য
করেনি
আইসিসি
এবং
শ্রীলঙ্কা
ক্রিকেট
বোর্ডের
মধ্যে
কেউই।