IPL 2022: আইপিএলে হিট উইকেট! সাই সুদর্শনের আগে কোন এক ডজন ক্রিকেটার হন দুর্ভাগ্যের শিকার?
ড্যানিয়েল স্যামসের শেষ ওভারে ৯ রান তুলতে না পেরে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা গুজরাত টাইটান্স দশে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে পরাস্ত হয়েছে। রোহিত শর্মাদের চলতি আইপিএলে এটি দ্বিতীয় জয়। গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেন, ১৯.২ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে থেকেও ব্যাটিংয়ের জন্যই এই পরাজয়। অনেকেই মনে করছেন, বি সাই সুদর্শনের দুর্ভাগ্যজনক আউটই ফ্যাক্টর হলো।
|
সুদর্শন হিট উইকেট
শেষ পাঁচ ওভারে জিততে দরকার ছিল ৪৮। ষোড়শ ওভারে কায়রন পোলার্ডের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান বি সাই সুদর্শন। যদিও শেষ বলে তিনি হিট উইকেট হয়ে যান। পোলার্ডের এই শর্ট বলটিতে পুল মারতে গিয়েছিলেন। স্লোয়ার থাকায় ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটেনি। কিন্তু এরপরই ভারসাম্য রাখতে পারেননি সুদর্শন। ফলো থ্রুতে তাঁর ব্যাট ঘুরে গিয়ে লাগে উইকেটে। ১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১১ বলে ১৪ রানে আউট হন সুদর্শন।
|
টার্নিং পয়েন্ট?
ক্রিজে তখনও ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। তিনি তখন অপরাজিত ৯ বলে ১৪ রানে। শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৪০। শেষ অবধি ৫ রানে ম্যাচ হেরে যায় গুজরাত টাইটান্স। দলের সমর্থকদের আক্ষেপ, উইকেটে টিকে যাওয়া সাই সুদর্শন দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারতো। চলতি আইপিএলে সুদর্শনই প্রথম ক্রিকেটার যিনি হিট উইকেট আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন।
|
আইপিএলে হিট উইকেট
তবে সুদর্শনের আগে আরও ১২ জন ক্রিকেটার আইপিএলে হিট উইকেট হয়েছেন, তালিকায় রয়েছে অনেক তারকারই নাম। ২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুসাভির খোটে আইপিএলে প্রথম হিট উইকেট হন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সে বছরই আরসিবির মিসবা উল হক পাঞ্জাবের বিরুদ্ধেই হিট উইকেট হন। ২০০৯ সালে স্বপ্নিল আসনোদকর (রাজস্থান রয়্যালস), ২০১২ সালে রবীন্দ্র জাদেজা (চেন্নাই সুপার কিংস) ও সৌরভ তিওয়ারি (আরসিবি, ২০১৬ সালে যুবরাজ সিং, দীপক হুডা ও ডেভিড ওয়ার্নার (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ), ২০১৭ সালে কেকেআরের শেলডন জ্যাকসন, ২০১৯ সালে রিয়ান পরাগ (রাজস্থান রয়্যালস), ২০২০ সালে হার্দিক পাণ্ডিয়া (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স) ও ২০২১ সালে জনি বেয়ারস্টো (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ) আইপিএলে হিট উইকেট আউট হওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছেন।
|
ভালো শুরুর পরেও পরাজয়
রান তাড়া করতে নেমে শতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপ হওয়ার পরেও পরাজয় আইপিএলে এই নিয়ে পঞ্চমবার। গতকাল শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহার ওপেনিং জুটিতে ১০৬ রান উঠেছিল। ২০১৪ সালে গৌতম গম্ভীর ও রবিন উথাপ্পার ওপেনিং জুটিতে ১২১ রান ওঠার পরেও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ময়াঙ্ক আগরওয়াল ও লোকেশ রাহুল পাঞ্জাবের হয়ে ওপেনিং জুটিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে যথাক্রমে রাজস্থান রয়্যালস ও কেকেআরের বিরুদ্ধে ১২০ ও ১১৫ রান যোগ করেন, তারপরও দল জেতেনি। ২০১৬ সালে আরসিবির হয়ে ক্রিস গেইল ও বিরাট কোহলি ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১১২, তবু সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আরসিবিকে হারিয়ে দিয়েছিল।