টি-২০-তে হারের বদলা, প্রথম একদিনের ম্যাচেই অজি বাহিনীকে মাত বিরাট বাহিনীর
৬ উইকেটে প্রথম একদিনের ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষ হতে তখনও ১০ বল বাকি, কিন্তু, ভারত ৪ উইকেটে ২৪০ রান তুলে নেয়।
৬ উইকেটে প্রথম একদিনের ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষ হতে তখনও ১০ বল বাকি, কিন্তু, ভারত ৪ উইকেটে ২৪০ রান তুলে নেয়। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ২৩৬ রানের টার্গেট খাড়া করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৮ ওভারের শেষে ভারতের সামনে জয়ের জন্য বারো বলে ৫ রানের দরকার ছিল। ঊনপঞ্চাশ ওভারের শুরুতে ধোনি স্টোইন্স-কে পরপর দুটো বলে চার মেরে জয়ের রান তুলে নেন।
এদিন ভারতীয় দলের পক্ষে স্বস্তির খবর যে কেদার যাদবের ব্যাটে রান ফিরে আসা। দুরন্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট টিমে মিস্টার 'দাবাং' বলে পরিচিত কেদার যাদব। তিনি সাতাশি বলে ৮১ রানের এক দুরন্ত ইনিংস উহার দেন। ম্যাচের শেষপর্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিতও থাকেন কেদার। বল হাতেও এদিন গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করেন কেদার। সাত ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে তিনি ১টি উইকেটো নেন। ব্যাটে ও বলে সমান দক্ষতা দেখানোয় তাঁকেই ম্যান অফ দ্য ম্য়াচ নির্বাচিত করা হয়।
কেদার-কে যোগ্য সহায়তা দেন ধোনি। তিনি ৭২ বলে ৫৯ রান-এর একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ধোনি তাঁর এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। কেদার যাদব তাঁর ৮১ রানের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছয় মারেন। অস্ট্রেলিয়ার খাড়া করা ২৩৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতী য় ওভারের শুরুতেই ভারত তাঁর প্রথম উইকেটটি হারায়। দলের রান তখন মাত্র ৪। কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে হাঁটা দেন শিখর ধওয়ান। এরপর কোহলি ব্যাট হাতে রোহিত-কে সঙ্গে করে দলের হাল ধরেন। কিন্তু, ব্যক্তিগত ৪৪ রানে সতেরো ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান ভারতীয় অধিনায়ক। দলের রান তখন ছিল ৮০। রায়ডু-কে সঙ্গে নিয়ে রোহিত শর্মা রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ২১ ওভারের ৫ বলে আউট হয়ে যান রোহিত। তখন দলের রান ৯৫। রোহিতের ব্যক্তিগত রান ৩৭। ভারতকে জয়ের জন্য় তখনও ১৪১ রান করতে হত। ভারতীয় দলের ব্যাটিং-এর কম্পনটা কিছুক্ষণের জন্য বাড়িয়ে দেয় অম্বাতি রায়ডুর আউট। রায়ডু মাত্র ১৩ রান করে ২৪ ওভারে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন। ভারতের দলগত স্কোর তখন ৯৯।
এই পরিস্থিতিতে ধোনি এক পরিশিলিত ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসাবে দলের হাল ধরেন। চার বা ছয়ে-র চক্করে না পড়ে ধীরে ধীরে দলের জয়ের ভিত গড়ার দিকে মনোনিবেশ করেন তিনি। এই ইনিংসে এদিন ধোনি আরও একবার বোঝালেন কেন তাঁকে এখনও বিশ্ব ক্রিকেটে একদিনের ম্যাচে অন্যতম সেরা ফিনিশার বলা হয়। ধোনি এবার কেদার যাদবকে সঙ্গে করে ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কেদার যাদব যে মন্থর পিচেও এবং স্লো-আউট ফিল্ডেও বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে সক্ষম তা জানেন ধোনি। সেই কারণে কেদারকে স্ট্রোক প্লে খেলার জন্য এগিয়ে দেন। আর নিজে অ্যাঙ্কর-শিট-এর ভূমিকা পালন করতে থাকেন। যার ফল ভারত ১০ বল থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয়। ৫ ম্যাচের সিরিজে আপাতত ভারত ১-০-তে এগিয়ে গেল।