ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটাবে দিল্লির বৃষ্টি? কেমন হতে পারে একাদশ?
ভারতের কাছে টি ২০ সিরিজে পরাস্ত হওয়ার পর লখনউয়ে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়লাভ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও রাঁচিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকটি কাল অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিন্তা থাকছে আবহাওয়া নিয়ে।
|
বৃষ্টির আশঙ্কা
কয়েক দিন ধরে দিল্লিতে বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল উইকেন্ডেই। ২০০৭ সালের পর রাজধানীতে এবারই এত বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, কাল সকালের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৪০ শতাংশ। পরের দিকে ১৫ শতাংশ। কিছুটা সময় রোদ উঠবে বলেও জানানো হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা ছিল, ফলে আর্দ্রভাব থাকতে পারে। ২০১৯ সালের পর এই মাঠে কোনও একদিনের আন্তর্জাতিক হয়নি। শেষ তিনটি ম্যাচে প্রথম ইনিংসের গড় স্কোর ২৫৯। ফলে টস জিতলে সংশ্লিষ্ট দল প্রথমে ব্যাটিং করে নিতে চাইবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছোট বাউন্ডারিতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ভালো রান ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেভারিট ভারত
ভারত দিল্লিতে শেষবার একদিনের আন্তর্জাতিকে জয় পেয়েছিল ২০১৪ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তৎকালীন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা হারিয়েছিল ৪৮ রানে। যদিও ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬ রানে এবং ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৫ রানে পরাস্ত হয়েছিল ভারত। মেন ইন ব্লু গত বছরের মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সাতটি একদিনের সিরিজ খেলেছে। তার মধ্যে হেরেছে মাত্র একটিতে। সেটিও চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। রাঁচিতে যেভাবে ভারত দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তাতে শিখর ধাওয়ানের দলের মনোবল বেড়েছে অনেকটাই। আগামী বছর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। সেই দলে সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যে সিনিয়রদের পাশাপাশি তরুণ ক্রিকেটাররাও নিজেদের মেলে ধরতে বদ্ধপরিকর।
মরিয়া প্রোটিয়া-বাহিনী
ভারত থেকে গত ১০ বছরে মাত্র দুটি দলই একদিনের সিরিজ জিতে ফিরতে পেরেছে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় রয়েছে একাদশ স্থানে। কালকের ম্য়াচ যদি প্রোটিয়ারা জিতে ১০ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারে তাহলে তারা উঠে আসবে নবম স্থানে। তবুও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিছনে থাকতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর আর ৫টি ম্যাচই পাবে বিশ্বকাপের সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করার জন্য। নাহলে তাদের আগামী জুনে কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে। তাই সিরিজ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিয়াদের বাড়তি মোটিভেশন থাকবে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখা।
সম্ভাব্য এগারো
ভারতীয় দল দিল্লিতে উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই নামতে পারে। যদি না অতিরিক্ত পেসারকে দলে নিয়ে মুকেশ কুমারের অভিষেক ঘটানো হয়। ব্যাটিং লাইন আপে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে রজত পাটীদার বা রাহুল ত্রিপাঠীকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। রাঁচিতে অসুস্থতার কারণে খেলেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। কনুইয়ের চোটের কারণে মাস তিনেক বাইরে থাকার পর মাঠে ফিরে চার ইনিংসে তিনি মাত্র ১১ রান করেছেন। টি ২০ বিশ্বকাপের আগে তিনি নিজে ছন্দে ফিরতে চাইবেন। সেক্ষেত্রে জ্যানেম্যান মালানকে বসতে হতে পারে। কোনও পেসারকে বাইরে রেখে সুস্থ থাকলে তাবরেজ শামসিকেও কালকের ম্য়াচে খেলাতে পারে প্রোটিয়ারা।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- শিখর ধাওয়ান (অধিনায়ক), শুভমান গিল, ঈশান কিষাণ, শ্রেয়স আইয়ার, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), শার্দুল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দর, মুকেশ কুমার বা শাহবাজ আহমেদ, কুলদীপ যাদব, আবেশ খান, মহম্মদ সিরাজ
দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাব্য একাদশ- কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), রিজা হেন্ডরিকস বা জ্যানেম্যান মালান, তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, ওয়েন পারনেল, কেশব মহারাজ, আনরিখ নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাডা
অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলি টি ২০ বিশ্বকাপে বোলারদের সুবিধা করে দেবে, কোন যুক্তি মেলে ধরে দাবি অশ্বিনের?