ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
ডিএলএস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
ডার্ক-ওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ভারত।
টিম ইন্ডিয়ার দেওয়া ১৬৮-র লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫.৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তোলেন ক্যারিবিয়ানরা। তারপরেই বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় খেলা। ডার্ক-ওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জিততে ওই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১২১ রান। নির্ধারিত লক্ষ্যের থেকে ২২ রান পিছনে থাকেন ক্যারিবিয়ানরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধান জিতে নেন বিরাট কোহলিরা।
রবিবার ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করেন ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৭.৫ ওভারে ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় কিমো পলের বলে বোল্ড হন ধাওয়ান।
এরপর ভারত অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতের টোটালে আরও ৪৮ রান যোগ করেন রোহিত। ৫১ বলে ৬৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হন শর্মা। এই ম্যাচেই টি-টোয়ান্টিতে সর্বাধিক ছক্কা (১০৭টি) হাঁকানোর নজিরও গড়েন হিটম্যান। অন্যদিকে ২৩ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। এরপর ব্যাট করতে নামা ঋষভ পন্থ (৪), মণীশ পাণ্ডে (৬), রবীন্দ্র জাদেজারা (৯) চালিয়ে খেলতে গিয়ে একে একে আউট হন।
শেষ বেলায় বাঁ-হাতি অল রাউন্ডার ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার ব্যাট থেকে ২০ রান না এলে ভারতের স্কোর ১৬০ পেরতো কিনা সন্দেহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওশেন থমাস ও শেলডন কোটরেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ রানে দুই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যথাক্রমে চার ও শূণ্য রান করে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনার সুনীল নারিন ও এভিন লুইস। এরপর নিকোলাস পুরানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৭৬ রান তোলেন রভম্যান পাওয়েল। ১৯ রান করে ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন পুরান। হাফ সেঞ্চুরির পর আর চার রান যোগ করে পাণ্ডিয়ার বলেই আউট হন পাওয়েলও।
এরপর ক্রিজে আসা কাইরন পোলার্ড (৮) ও শিমরোন হেটমের (৬) ক্যারবিয়ান ইনিংসকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের সব আশা শেষ করে দেয় বৃষ্টি। ভারতের হয়ে ২টি উইকেট নেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া। ১টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও ওয়াশিংটন সুন্দর।