ভারতের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ১০০ রানে, টি ২০ সিরিজ ৪-১! ম্যাচ শেষে কে কী বললেন?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজ ৪-১ ব্যবধানেই জিতল ভারত। রোহিত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, ঋষভ পন্থ ও সূর্যকুমার যাদবকে ছাড়াই এদিন নিকোলাস পুরাণের দলের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দলের জয় এলো ৮৮ রানে। ১৫.৪ ওভারে মাত্র ১০০ রানেই গুটিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রবি বিষ্ণোই চারটি এবং অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব তিনটি করে উইকেট নিলেন। ম্যাচের সেরা অক্ষর, সিরিজ সেরা অর্শদীপ সিং।
শ্রেয়সের অর্ধশতরানে ভারত ১৮৮
ফ্লোরিডার লডারহিলে গতকালের ম্যাচেই উইকেট পরের দিকে মন্থর হয়ে গিয়েছিল। সে কারণইে আজ তিন স্পিনার নিয়ে নামে ভারত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত তোলে ৭ উইকেটে ১৮৮ রান। শ্রেয়স আইয়ার ৪০ বলে সর্বাধিক ৬৪ রান করেন। দীপক হুডা ৩৮, এই ম্যাচের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া ২৮ রান করেন। ওডেন স্মিথ ৩৩ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০০!
জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ রানের মধ্যে শেষ ৭টি উইকেট হারিয়ে ১০০ রানেই থেমে যায় নিকোলাস পুরাণের দল। তার মধ্যে তিনে নেমে শিমরন হেটমায়ার একাই করেন ৩৫ বলে ৫৬ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি চার ও চারটি ছয়। শামার ব্রুকস ১৩ ও উইকেটকিপার ডেভন থমাস ১০ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রান পাননি। চারজন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন, একজন অপরাজিত থাকেন শূন্য রানে। অক্ষর প্যাটেল একটি মেডেন-সহ ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। প্রথম তিন ব্যাটার অক্ষরের শিকার। এই ভারতীয় স্পিনার ম্যাচের সেরা হন। রবি বিষ্ণোই ২.৪ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে নেন চারটি উইকেট। কুলদীপ যাদব একটি মেডেন-সহ ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। ভারতের স্পিন-ত্রয়ীই প্রতিপক্ষের সব উইকেট তুলে নেন।
বড় জয়ের তৃপ্তি
রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। আগের ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া হার্দিক এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ খুব স্পেশ্যাল। সেই সঙ্গে তাতে জয় পাওয়া অধিনায়ক এবং ব্যক্তিগত হিসেবেও আমার কাছে অনেকটাই। এমনকী সুযোগ পেলে তিনি যে পাকাপাকিভাবে নেতৃত্ব দিতে চান সেটাও জানিয়েছেন গুজরাত টাইটান্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করানো অধিনায়ক। এশিয়া কাপেও সাফল্য ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হার্দিক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা স্বাধীনভাবে খেলতে পারাতেই ভারত ধারাবাহিকভাবে সফল হচ্ছে। এখন খেলছে নিউ ইন্ডিয়া। প্রতিভা তো আছেই, সেই সঙ্গে স্বাধীনভাবে খেলতে পেরে সকলেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছেন। দলের ম্যানেজমেন্ট যে পরিবেশ তৈরি করেছে তার প্রশংসা করেছেন পাণ্ডিয়া। দল থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা না থাকায় সকলে খোলা মনে যেভাবে মেলে ধরছেন সেটাকেই এক্স-ফ্যাক্টর হিসেবে দেখাতে চাইলেন তিনি।
|
ম্যাচের সেরা অক্ষর
ম্যাচের সেরা অক্ষর প্যাটেল বলেন, পেসের বৈচিত্র্য ঘটিয়ে বল করা আমার লক্ষ্য ছিল। জানতাম উইকেট স্লো। স্টাম্প টু স্টাম্প বল করে গিয়েছি। টি ২০-তে ব্যাটাররা সব সময় মারমুখী থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেইমতো নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করার দরকার হয়। ভালো জায়গায় বল ফেলার দিকে নজর দিয়েছিলাম। আগে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলেছি, এমনকী চলতি সফরেও যে উইকেটগুলিতে খেলেছি ফ্লোরিডার উইকেটের চরিত্র তেমনই ছিল। কখনও ব্যাট হাতে কখনও বল হাতে নিজেকে মেলে ধরে অলরাউন্ডারের ভূমিকাই পালন করতে চান। তবে তিনি ব্যাটিং অলরাউন্ডার না বোলিং অলরাউন্ডার সেই বিচারের ভার বিশেষজ্ঞদেরই দিয়েছেন ভারতীয় দলের 'বাপু'।
|
সিরিজ সেরা অর্শদীপ
শেষ ম্যাচে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেট না পেলে চলতি সিরিজে সাত উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন অর্শদীপ সিং। ইকনমি ছিল ৬.২৬। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মতো প্রসেসে মনোনিবেশ করে এবং খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে না হেঁটে স্বাভাবিক বোলিং করেই এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন অর্শদীপ। তাঁর কাছ থেকে কোন পরিস্থিতিতে দল কী চাইছে সেই সম্পর্কে ভাবনার স্বচ্ছ্বতা থাকাকেই মূল ফ্যাক্টর হিসেবে উল্লেখ করেন তরুণ এই পেসার। অর্শদীপ বলেন, অধিনায়ক যে-ই থাকুনা না কেন তাঁরা নতুন ক্রিকেটারদের পাশে থাকেন। সিনিয়রদের সঙ্গে ইয়ংস্টাররাও একইরকম অনুভূতি পাচ্ছেন ড্রেসিংরুমে। আইপিএল ও রাজ্য দলের হয়ে ভালো খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের তাই মেলে ধরতে সুবিধা হয় বলে দাবি অর্শদীপের।
সিন্ধুর পর লক্ষ্য, কমনওয়েলথ গেমসের ব্যাডমিন্টনে সিঙ্গলসে জোড়া সোনা ভারতের