সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, বিরাটকে শো-কজ নোটিশ পাঠাতে চেয়েছিলেন সৌরভ!
বিরাটকে শো-কজ নোটিশ পাঠাতে চেয়েছিলেন সৌরভ!
চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল বাইরে। ভারতীয় টেস্ট দলের সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে শো-কজ করতে চেয়েছিলেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনটাই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে। দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে ডিসেম্বরের বিতর্কিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরই কোহলিকে শো-কজ-এর নোটিশ পাঠাতে চেয়েছিলেন সৌরভ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে বিতর্কিত ভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি তথা বোর্ড সভাপতিকে তর্কিতভাবে আক্রমণ করে বসে বিরট কোহলি। তিনি সরাসরি জানান, টি-২০ নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা কারার জন্য বোর্ডের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত বিবেচনার কোনও প্রস্তাবই তিনি পাননি।
উল্লেখ্য, একদিনের ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব যাওয়ার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোহলিকে অনুরোধ করা স্বত্ত্বেও টি২০-র নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। বিরাট নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। সাদা বলের ক্রিকেটে দুই অধিনায়ক তত্ত্বে যেতে চায়নি বোর্ড, তাই একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয় রোহিত শর্মাকে।
সৌরভের এই বক্তব্যেকর পর প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে মিথ্যা প্রমাণের যে চেষ্টা বিরাট চালিয়েছিলেন তা একেবারেই ভাল চোখে দেখননি বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সফল নক্ষত্র। যে ভাবে বোর্ড এবং তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের প্রচেষ্টা করেছিল বিরাট তাতে বেজায় চটেছিলেন সৌরভ। এর পরই নাকি তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শো-কজ করা হবে কোহলিকে। বিভিন্ন রিপোর্ট সূত্রে খবর, শো-কজ নোটিসের নাকি ড্রাফটও তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে-র খবর অনুযায়ী মহারাজকে শান্ত করতে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। বিরাটকে শো-কজ নোটিশ না পাঠানো জন্য তিনি অনুরোধ করেন সৌরভকে। বোর্ড চায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটুক। এর প্রভাব পড়তে পারত গোটা দলের উপর।
নিজের ইচ্ছায় টি-২০ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেও ভারতের ওডিআই এবং টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু বোর্ড সাদা বলের ক্রিকেটে দুই অধিনায়ক না চাওয়ায় ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিরাটকে। টি-২০'র মতো ওডিআই দলের দায়িত্বও দেয়া হয় রোহিত শর্মার হাতে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট্ সিরিজ হেরে দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেটে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বিরাট। এই সিদ্ধান্তের তৈরি ছিলেন না কেউই। জানা গিয়েছে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জয় শাহকে ফোন করে জানিয়েছিলেন কোহলি।