সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভালো আছেন, ওমিক্রনে না হলেও কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বিসিসিআই সভাপতি?
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বেহালার বাড়িতেই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে বিসিসিআই সভাপতির নমুনা কল্যাণীতে পাঠানো হয়েছিল, সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর গতকালই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, সৌরভ আক্রান্ত হন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে!
গত রবিবার সৌরভের রাতে ৯৯-এর মতো জ্বর আসে। পরদিন জ্বর না থাকলেও তিনি দাদাগিরির শ্যুটিং বাতিল করে দেন আগেই। সোমবার শ্যুটিংয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। এরপর সেল্ফ টেস্টিং কিট দিয়ে সৌরভ নিজেই করোনা পরীক্ষা করেন। তাতে করোনা পজিটিভ ফল দেখে, ফের পরীক্ষা করেন। সেবারও দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। ২০২১ সালের জানুয়ারির প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় সৌরভের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছিল। বাড়ি ফেরার কয়েক দিন বাদে ফের স্টেন্ট বসানো হয়। তারপর অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই কাজকর্মে ফেরেন তিনি। এই প্রথম তিনি করোনা আক্রান্ত হলেন।
স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, কন্যা সানা-সহ তাঁর বাড়ির সকলের রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ আসে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই সৌরভ সোমবার বিকেলের দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এখানেই তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছিল। ডা. সরোজ মণ্ডল, ডা. সপ্তর্ষি বসু, ডা. সৌতিক পাণ্ডাকে রেখে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ডা. দেবী শেঠি-সহ আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই সৌরভের চিকিৎসা চলতে থাকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে। তবে আর জ্বর আসেনি। সামান্য অস্বস্তিভাবও কেটে যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, সৌরভের শরীরে উপসর্গও নেই। তিনি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট দেখেছেন, অফিসের কিছু কাজও করেছেন হাসপাতালে বসেই। রাতে ঘুমও ভালো হচ্ছিল, স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়াও করেছেন। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯৯ শতাংশ।
এরই মধ্যে সৌরভকে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া হয় ওই হাসপাতালে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এটি খুব কার্যকরী। গতকালই জানা যায় ৪৯ বছর বয়সি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হননি। আজ জানা গেল তিনি ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরভের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তিনি হোম আইসোলশনেই নিয়ম মেনে রয়েছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভালোই আছেন বোর্ড সভাপতি। ২০২১ সালে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় সৌরভকে। গত বছর সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়েরও করোনা হয়েছিল। দুজনেই এখন সুস্থ রয়েছেন।