আইপিএলে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ নীতা আম্বানির বিরুদ্ধে, পদক্ষেপ বিসিসিআইয়ের
আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব কিনে অস্বস্তিতে পড়লেন নীতা আম্বানি। তাঁর বিরুদ্ধে উঠল স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ। নীতা আম্বানি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের কর্ণধার। নীতা রিলায়েন্সের একজন ডিরেক্টর। রিলায়েন্সেরই অধীনস্থ সংস্থা আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব কিনেছে। অভিযোগ আসার পর নীতা আম্বানির বক্তব্য জানতে চেয়েছে বিসিসিআই। সময় দেওয়া হয়েছে ২ সেপ্টেম্বর অবধি। পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
অস্বস্তিতে নীতা
মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত অভিযোগ করে জানান, আইপিএলে মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার নীতা আম্বানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর পদেও রয়েছেন। রিলায়েন্সেরই সংস্থা ভায়াকম ১৮ ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল অবধি আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ত্ব ২৩,৭৫৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কিনেছে। উল্লেখ্য, ভায়াকম ভারতে আইপিএলের ডিজিটাল স্বত্ত্ব যেমন কিনেছে, তেমনই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল সম্প্রচারের টিভি ও ডিজিটাল স্বত্ত্ব পেয়েছে। গত জুন মাসে বিসিসিআই ই-অকশনের যে ব্যবস্থা করেছিল তার মাধ্যমেই এই স্বত্ত্ব কেনে ভায়াকম ১৮।
স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ
অভিযোগকারী সঞ্জীব গুপ্তর কথায়, আম্বানি আইপিএল টিমের কর্ণধার, আবার তিনি যে কোম্পানির ডিরেক্টর তারই অধীনস্থ সংস্থা আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ত্ব কিনেছে। স্বাভাবিকভাবেই এখানে স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি থাকছেই। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, অভিযোগকারী বিসিসিআইকে লিখেছেন, রিলায়েন্সের ওয়েবসাইটেই লেখা হয়েছে ভায়াকম ১৮ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডেরই অধীনস্থ সংস্থা।
জবাবদিহি তলব বিসিসিআইয়ের
অভিযোগ পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করেছে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার পদে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিনীত শরণ। তিনি অভিযোগের প্রেক্ষিতে নীতা আম্বানির লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। সময় দেওয়া হয়েছে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত। নীতা আম্বানিকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ, বোর্ডের সংবিধানের ৩৯বি ধারা অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসারের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। নীতা আম্বানির বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে লিখিত আকারে তাঁকে নিজের বক্তব্য ২ সেপ্টেম্বর বা তার আগে জানাতে হবে।
অভিযোগকারীর ট্র্যাক রেকর্ড
যিনি এবার নীতা আম্বানির বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ এনেছেন সেই সঞ্জীব গুপ্ত অবশ্য এই প্রথম এই ধরনের অভিযোগ করলেন না। বিভিন্ন সময় ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ করেছেন। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড়, মবেন্দ্র সিং ধোনি, বোর্ডের সহ সভাপতি রাজীব শুক্লার বিরুদ্ধেও স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ এনেছেন। এবার নীতা কীভাবে বাউন্সার সামলান সেটাই দেখার।