অনুব্রতহীন জেলায় জনসংযোগে ক্ষোভের মুখে শতাব্দী, পঞ্চায়েতের মুখে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের
অনুব্রতহীন জেলায় জনসংযোগে ক্ষোভের মুখে শতাব্দী, পঞ্চায়েতের মুখে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের
পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। তাই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জনসংযোগ। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়কদের পাঠিয়ে জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বেরোচ্ছেন জনসংযোগে, যাচ্ছেন অভিষেকও। তেমনই বীরভূমে জনসংযোগে গিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। জনসংযোগে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তা নিয়েই এখন উঠেছে প্রশ্ন, তবে কি বীরভূমে অনুব্রত-গড়ে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে জনসংযোগে বেরিয়ে জনরোষের মুখে পড়তে হওয়ায় তৃণমূলে খানিক অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি এর ফলে ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এতদিন বীরভূম নিয়ে ফিরে তাকাতে হয়নি মমতা-অভিষেকদের। এই জেলায় অনুব্রত মণ্ডলই ছিলেন শেষ কথা। তাঁর উপরই সব ভার ছেড়ে নিশ্চিন্ত থাকতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন মেদিনীপুরের ভার তিনি ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর উপর।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর অনুব্রত মণ্ডল জেল-বন্দি। ফলে বেশ কিছু জেলায় এবার মনসংযোগ করতে হচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবার শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গুরুত্ব দিচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমকেও।
সেই বীরভূমে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখ পড়লেন সাংসদ শতাব্দী রায়। এর আগে বীরভূমে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদাররা। তারপর জবাবি সভা কর যান মহুয়া মৈত্র, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। এবার শতাব্দী রায় গিয়েছেন জনসংযোগে। শতাব্দী রায়কে সামনে পেয়ে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ উগরে জানালেন, তাঁরা কোনও সরকারি পরিষেবা পাননি।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় হাতোড়া গ্রামে গিয়েছিলেন শতাব্দী। সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সাংসদ শতাব্দী রায় ধৈর্য্য সহকারে শোনেন গ্রামের মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। জনতার উদ্দেশে শতাব্দী বলেন, আপনারা কেউ কি বাড়ি পাননি? সমবেত স্বরে তাঁরা বলেন- না। তারপর শতাব্দী বলেন, বীরভূমে অনেক মানুষ বাড়ি পেয়েছেন, যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা প্রত্যেকেই পাবেন।
গ্রামের মানুষেরা বলেছিলেন, তাঁরা কোনও বাড়ি পাননি, গ্রামে কোনও রাস্তা হয়নি। এসব শুনে আশ্বাস দেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, ভরসা রাখুন সব পাবেন আপনারা। কিন্তু ক্ষোভের যে বহিঃপ্রকাশ শোনা গেল, তাতে কতটা লাভজনক হবে তৃণমূলের এই জনসংযোগ কর্মসূচি, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে, এই যে তৃণমূল নেতারা যাচ্ছেন, মানুষের কথা শুনছেন, তা খানিকটা দাওয়াইয়ের কাজ করতে পারে। গ্রামবাসীরা যে ক্ষোভের কথা বলতে পারছেন, তৃণমূল নেতারা যে তা শুনছেন, তা প্রতিকারের সুযোগও পাবেন তাঁরা।
নন্দীগ্রামে আবার ভোট হবে, শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে কেন একথা বললেন অভিষেক