
হামলা থেকে বাঁচতে দরজায় তালা, তারপর বাইরে থেকে আগুন! রামপুরহাটের গণহত্যার বর্ণনা প্রত্যক্ষদর্শীদের
সকালে বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)বলেছিলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বেলা গড়াতেই আসল ঘটনা সামনে এসে পড়ে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা (eyewitnesses) সোমবার রাতের গণহত্যার ঘটনা সামনে আনেন। তাঁরাই জানান, পুড়িয়ে মারার মর্মান্তিক পরিণতির কথা।

সোমবার প্রথমে তৃণমূল নেতা খুন
ভাদু শেখের আত্মীয় সুজন শেখ জানিয়েছেন, বাইকে করে এসে ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। সে পালানোর চেষ্টা করেও পারেনি। তবে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ভাগু শেখের পরিবারের তরফে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও এই খুনের ঘটনা বলে জানিয়েছে পরিবার। সেই কারণে পরিবার পুলিশের তদন্তে আস্থা রাখতে পারছেন না।

নেতা খুনের পরেই হামলা
নেতা খুনের পরেই এলাকায় বহু বাইরের ছেলে ঢুকে পড়ে। এরপর পরপর বোমা ছোড়া হয়। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি বাড়ি থেকেই সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দমকল। তবে বাড়িতে সেই সময় কোনও পুরুষ সদস্য ছিলেন না, সেই কারণে তাঁরা বেঁচে দিয়েছেন।

বাড়িতে দুই বেঁচে থাকা সদস্যের প্রতিক্রিয়া
রামপুরহাট মহকুমার হাসপাতালে ভর্তি নাজেমা বিবি জানিয়েছেন, বাড়ির মহিলারা ভিতরেই ছিলেন। সময় তখন রাত নটা। তবে সামনে দোকান খোলা ছিল। কিন্তু বোমা পড়তে দেখে দোকানের শাটার নামিয়ে দেন, গ্রিলের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। সেই সময় হামলাকারীরা পেট্রোল দিয়ে পুরো বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই সময় মহিলা ও শিশু মিলিয়ে বাড়িতে ১০ জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন নাজেমা বিবি। এর মধ্যে দুটি শিশুও ছিল। ভাদু শেখের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যে ভাব ছিল না তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন নাজেমা বিবি। পরিবারের আরেক সদস্য খুশি খাতুনও পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

গ্রাম্য বিবাদ থেকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র
এদিন সকালের দিকে অনুব্রত মণ্ডল ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছিলেন শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। পরে বেলা গড়াতেই গ্রাম্য বিবাদের কথা বলা শাসকদল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদ সম্মেলন করে বলে এই ঘটনার পিছনে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। যদিও পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব হাজির করানো হয়। তার পরেই কুণাল ঘোষ আবারও সামবাদিক সম্মেলন করে বলেন, এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্রের ঘটনা রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত তদন্তকারীদের।
নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম - বিশ্ব বাংলা লোগো , রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি এবিভিপির