মাটির বাড়িতে জন্মানোর কথায় আদিবাসী আবেগ ছুঁলেন মমতা, চুটিয়ে জনসংযোগ জঙ্গলমহলে
মাটির বাড়িতে জন্মানোর কথায় আদিবাসী আবেগ ছুঁলেন মমতা, চুটিয়ে জনসংযোগ জঙ্গলমহলে
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে গিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসীদের গ্রামে গিয়ে বললেন আমার জন্মও মাটির বাড়িতে। জঙ্গলমলে গিয়ে মাটির বাড়িতে পা রেখে তিনি ফিরে গেলেন পুরনো দিনে। নিজের জীবনের কথায় তিনি আদিবাসীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কষ্ট।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিক যেমন দেখতে চায় মানুষ, মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে গিয়ে ঠিক সেই ভূমিকায় তুলে ধরলেন। পাশের বাড়ির মেয়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী মিশে গেলেন জনসাধারণের সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ শুনলেন, প্রতিশ্রুতি দিলেন সমাধান করার। রাস্তায় ধারে যেখানে দেখলেন তাঁর অপেক্ষায় মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানে নেমে তিনি জনসংযোগ করলেন।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল তার প্রথম জঙ্গলমহল সফর। সেখানে আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। সটান ঢুকে যান বাড়িতে। মাটির বাড়িতে গিয়ে নিজের জন্মানোর কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আমার মা-বাবাও থাকতেন মাটির বাড়িতে। আমার জন্মও মাটির বাড়িতে। আমি জানি মাটির বাড়ি কেমন হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রথম নামে কুর্চিবনি নামে একটি গ্রামে। সেখানে নেমেই তিনি আদিবাসী বাড়িতে ঢুকে যান। আদিবাসী গ্রামে উন্নয়নের খোঁজ নেন তিনি। তিনি ওই গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করেন, কী রান্না হচ্ছে বাড়িতে? তারপর জিজ্ঞাসা করেন চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন, কৃষক মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করছেন কি না, ইত্যাদি।
তিনি বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে বসে কথা বলেন, এর তিন মাসের শিশুকে কোলে তুলে নেন। সেখানে তখন বিশাল ভিড় জমে গিয়েছে। গ্রামের মানুষরা মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন দেখে ছুটে আসেন। এরপর তিনি শিল্পা বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন তো বেলপাহাড়িতে ভোলা পর্যটকদের আনাগোনা হচ্ছে। নিশ্চয়ই ব্যবসা বেড়েছে। রাস্তাঘাট কেমন আছে, সেই খবরও নেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মালাবতীর জঙ্গলের পাশে একটি গ্রামে যান।
এদিন যেমন মুখ্যমন্ত্রী জনসংযোগে মাত দেন, তেমন কয়েকজনের অভিযোগও শুনতে হয় তাঁকে। অনেকে অভিযোগ জানান, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। পানীয় জল পাচ্ছেন না। বহুদূর থেকে তাদের জল আনতে হয়। তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, ২৪ সালের মধ্যে তিনি নলবাহিত জলের বন্দোবস্ত করে দেবেন। পাইপ পাততে তো একটু সময় লাগবে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন একটি চা ও চপের দোকানে যান। সেখানে অনেককে কাগজে মুড়ে চপ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজারের লোক মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত। তাঁরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে দূর থেকে সভায় বক্তব্য রাখতে দেখেছি। এত কাছ থেকে যে তাঁকে দেখব ভাবিনি। মোট কথা, মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগের কাজ এটিন চুটিয়ে করেন।
'ঘর পাইনি-কোথায় যাব?' বেলপাহাড়িতে আদিবাসী গ্রামে ঢুকতেই মমতাকে সওয়াল ক্ষুব্ধ বৃদ্ধার