বাগুইআটির ছায়া বীরভূমে! ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে পিকনিকে ডেকে খুন, দেহ উদ্ধার জঙ্গলে
বাগুইআটির ছায়া এবার বীরভূমে! ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পিকনিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বন্ধুরাই খুন করে ওই ছাত্রকে।
বাগুইআটির ছায়া এবার বীরভূমে! ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পিকনিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বন্ধুরাই খুন করে ওই ছাত্রকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গল থেকে। মৃতের নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন।
সৈয়দ সালাউদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। তাঁকে পিকনিক করার নামে ডেকে অপহরণ করা হয়। তারপর খুন করে দুষ্কৃতীরা দেহ ফেলে যায় জঙ্গলে। বীরভূমের ইলামবাজার থানার ধল্লা মোড়ের জঙ্গলে গলাকাটা অবস্থায় সালাউদ্দিনের দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের বাড়ি বীরভূমের মল্লারপুরে। তাঁকে পিকনিক করতে ইলামবাজার আসার আমন্ত্রণ জানায় তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সালাউদ্দিন ইলামবাজারে আসে। সেখানে পৌঁছে মাকে ফোনও করে সালাউদ্দিন। সে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানায় মাকে। এরপর ফের রাতে সালাউদ্দিনের ফোন থেকে তাঁর বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। এরপর মুক্তিপণের টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করতে থাকেন। এর মাঝেই ছাত্রর গলাকাটা দেহ মেলে। পুলিশ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জঙ্গল থেকে দেহ উদ্ধার করে।
সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধারের পর যে বন্ধুর ডাকে সালাউদ্দিন পিকনিক করতে গিয়েছিলেন, পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আরও তিন-চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতের আসল বাড়ি বীরভূমের খয়রাশোলের আহমদপুর গ্রামে। ব্যবসার জন্য তাঁর পরিবার মল্লারপুরে থাকত।
বাগুইআটির মাধ্যমিকের দুই পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তারপর রাজ্যে আবার এক ছাত্রকে অপহরণ করে খুন করা হয়। একের পর এক ঘটনায় রাজ্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। খুনের ঘটনা ইদানীং বেড়ে চলেছে। এমনকী খুন, হিংসার বলি হচ্ছেন রাজ্যের স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারাও। রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, মৃতের পরিবারের কাছে রাত ১২টা নাগাদ দু-ঘণ্টার মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন আসে। মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের মোট তিনটি টিম এরপর অনুন্ধানে নামে। শেষমেশ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গল থেকে। জঙ্গলে গলা কাটা অবস্থায় পড়েছিল সালাউদ্দিনের দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।