পুরসভার গাড়ির খালাসির প্রাসাদোপম বাড়ি, অনুব্রত যোগ সন্দেহে সিবিআই হানা
পুরসভার গাড়ির খালাসির প্রাসাদোপম বাড়ি, অনুব্রত যোগ সন্দেহে সিবিআই হানা
পেশায় বোলপুর পুরসভার গাড়ির খালাসি। তাঁর বোলপুরে বাড়ি দেখে চমক ধরবে। প্রাসাদের মত বিশাল বড়ি বিদ্যুৎ বরণ গায়েনে। সবই কেষ্টর দৌতলতে। এমনই জানতে পেরেছে সিবিআই। পুরসভার গাড়ির খালাসির সেই বিপুল আয়ের উৎসের সন্ধানে এবার তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর বিদ্যুৎ গায়েনের দুটি বাড়িতেই চলছে তল্লাশি।
ফের বোলপুরে সিবিআই হানা
ফের বোলপুরে সিবিআই অভিযান।এবার অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরন গায়েনের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে কেষ্টকে জেরা করেই এই বিদ্যুৎ গায়েেনর নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই মত রবিবার দুপুর থেকেই বোলপুরের কালিকাপুরে বিদ্যুৎ গােয়নের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানি দেয় কেন্দ্রীয় তদ্তকারী সংস্থা। সেখানে দুটি বাড়ি রয়েছে বিদ্যুৎ মণ্ডলের। প্রথম বাড়ির কিছু দূরেই রয়েছে সেই বাড়ি। সেখানেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
অনুব্রত যোগ
অনুব্রতর
কল্যাণেই
বোলপুর
পুরসভার
গাড়ির
খালাসির
এই
বিপুল
সম্পত্তি
এমনই
মনে
করছেন
গোয়েন্দারা।
বোলপুর
পুরসভার
কর্মী
হলেও,
২০১১
সালের
পর
থেকেই
অনুব্রত
ঘনিষ্ঠ
হয়ে
উঠেছিলেন
বিদ্যুৎ
গায়েন।
তদন্তকারীদের
দাবি
পরে
অনুব্রত
মণ্ডলের
মেয়ে
সুকন্যা
মণ্ডলের
নামে
যে
দুটি
সংস্থা
রয়েছে,
সেই
দুই
সংস্থার
ডিরেক্টর
হিসেবেও
তাঁর
দেখা
গিয়েছে।
তাঁর
বাড়িতে
তল্লাশি
চালিেয়
এবং
বিদ্যুৎ
বরণ
গায়েনকে
জিজ্ঞাসাবাদ
করে
বেশ
কিছু
তথ্য
জানা
যাবে
বলে
মনে
করছেন
তদন্তকারীরা।
বিদ্যুৎ
বরণকে
একাধিক
সংস্থার
ডিরেক্টর
করে
সেই
সংস্থাগুলির
মাধ্যমে
গরু
পাচারের
টাকা
পাচার
করা
হত
কিনা
তা
জানার
চেষ্টা
করছেন
গোয়েন্দারা।
গরুপাচারে প্রত্যক্ষ মদত
এদিকে সিবিআই আসানসোলে যে কেস ডায়রি করেছে তাতে সরাসরি কেষ্টর সঙ্গে গরুপাচারের যোগ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেস ডায়রিতে সিবিআই জািনয়েছে গরুপাচারে প্রত্যক্ষ মদত ছিল অুব্রতর।সেই সঙ্গে অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রতর নিজের নামে, ঘনিষ্ঠ ও দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, যার সঙ্গে কারও আয়ের সঙ্গতি নেই বলে কেস ডায়রিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ৪৫টি সম্পত্তির ডিডে অনুব্রতর নাম রয়েছে। সায়গলের নামে দেওয়া চার্জশিটে সেই উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুব্রতকে বাবা বলে ডাকতেন বিদ্যুৎ
কেষ্টর সঙ্গে বিদ্যুতের ঘনিষ্ঠতা এতটাই ছিল যে অনুব্রতকে বাবা বলে ডাকতেন তিিন। জয়নগরের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। বিদ্যুতের বাবা বিশ্বভারতীর একটি ক্যাম্পাসে কাজ করতেন। সেকারণেই তাঁরা বোলপুরে বসবাস শুরু করেন। বোলপুর পুরসভায় গাড়ির খালাসির কাজ করতেন তিিন। পালাবদলের পর অনুব্রতর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর। সিবিআই জানতে পেরেছে, 'এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড এবং রিয়েল এস্টেট সংস্থা 'নীড় ডেভলপার্স' ডিরেক্টরশিপ ছিল তাঁর নামে। ওই সংস্থার শেয়ার ক্যাপিটাল প্রায় দেড় কোটি টাকা।