বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের দুয়ারে সিবিআই হানা, নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি ঘিরে ফেলল আধাসেনা
হাজিরা এড়ালেও জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে পারলেন না বীরভূমের (Birbhim) দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । এদিন সকালে সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে হান
হাজিরা এড়ালেও জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে পারলেন না বীরভূমের (Birbhim) দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । এদিন সকালে সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের প্রবেশের সময়ে বাড়ি ঘিরে ছিলেন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানরা।
১০ বার ডাকে সাড়া একবার
এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় সিবিআই ১০ বার তলব করেছে। কিন্তু তিনি মাত্র একবার হাজিরা দিয়েছেন। বুধবারও কলকাতায় হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে যানঅনুব্রত মণ্ডল। দুদিন আগেও যখন তাঁকে নবমবার তলব করা হয়েছিল সেই সময় অনুব্রত মণ্ডল কলকাতায় গিয়েও চলে গিয়েছিলেন এসএসকেএম-এ।
ফোনে কথা চিকিৎসকের সঙ্গে
মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানোর হয়েছিল বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রকান্ত অধিকারীকে। তিনি নিজেই জানিয়েছি্লেন, অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে বলেছিলেন ১৪ দিনের বিশ্রাম লিখে দিতে। সাদা কাগজেতিনি তা লিখে দিয়েছিলেন। তিনিও জানিয়েছিলেন, ক্রনিক অসুখ এবং ফিসচুলার কিছুটা বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিবিআই আধিকারিকরা এদিনম অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেওয়ার আগে ওই চিকিৎসকেরসঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই
এদিন সকাল নটার কিছু পরে আট থেকে দশজনের সিবিআই আধিকারিক বাড়িতে হানা দেন। প্রথমে দরজা বন্ধ ছিল। সেই সময় বাড়িতে ঢুকতে বেগ পেতে হয়। তবে ভিতরে ঢুকেই কার্যত পুরো বাড়ির দখল নেয় সিবিআই। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। বাড়িতে ঢোকা বেরনোর তিনটি দরজাতেই বসানো হয় সিআরপিএফ প্রহরা। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং আইনি রক্ষাকবচ নিয়েই সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন।
এলাকা ও বাড়ির দখলে সিআরপিএফ
সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢোকার আগেই কার্যত এলাকা ও বাড়ির দখল নিয়ে নেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলের প্রহরায় থাকা রাজ্য পুলিশের কর্মীদের। তাঁদেরকে বের করে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা বাড়িতে ঢোকার পরে তল্লাশি শুরু করেছেন। গরু পাচার মামলায় আসানসোল আদালতে সিবিআই যে ৪১ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম রয়েছে। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা রয়েছে। এদিন কি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি সিবিআই আধিকারিকরা।
হাওড়ায় পারিবারিক বিবাদে নৃশংস ঘটনা! ৪ জন খুনে আটক মহিলা