ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে প্রথমবার তৃণমূল অফিসে সিবিআই, অনুব্রত-গড়ে নোটিস ঘিরে তোলপাড়
এবার তৃণমূল (trinamool congress) কার্যালয়ে সিবিআই হানা। এদিন বীরভূমের (bitbhum) ইলামবাজারের তৃণমূল কার্যালয়ে সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটনার তদন্তেই সিবিআই (cbi)-এর এই তৎপরতা। এর আগে
এবার তৃণমূল (trinamool congress) কার্যালয়ে সিবিআই হানা। এদিন বীরভূমের (bitbhum) ইলামবাজারের তৃণমূল কার্যালয়ে সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেন বলে জানা গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটনার তদন্তেই সিবিআই (cbi)-এর এই তৎপরতা। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটনায় সিবিআই কখনও তৃণমূল সমর্থককে আবার কখনও বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করলেও তৃণমূলের দলীয় অফিসে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
ইলামবাজারে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় মতো বীরভূমেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ ২ মে ভোট গণনার দিন ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামে দলীয় কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ফল ঘোষণার পরেই তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে গৌরব সরকারের ওপরে হামলা করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।
বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে বিজেপি কিংবা গৌরব সরকারের বাড়ির লোকের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হলেও, কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। কিন্তু সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে। তাকে হুগলির শেওড়াফুলি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সোমবার দিলীপ মৃধাকে গ্রেফতারের পরে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ১৯।
তৃণমূল কার্যালয়ে সিবিআই
গৌরব সরকারের হত্যার তদন্তে মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিকরা ইলামবাজারের তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় পদাধিকারীকে নোটিস দেন বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই-এর চার আধিকারিক সেখানে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেন। সেই সময়ই সিবিআই-এর তরফ থেকে ২০১৯ এবং ২০২১-এর নির্বাচনে গোপালনগরের বুথ কমিটির সদস্যদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরের খোঁজ করেন। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরও খোঁজ করেন বলেও সূত্রের খবর।
শাসককে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা
এদিকে
তৃণমূল
কার্যালয়ে
সিবিআই-এর
টিম
যাওয়ার
ঘটনাকে
শাসক
শিবিরকে
কালিমালিপ্ত
করার
প্রয়াস
বলে
অভিহিত
করেছেন
স্থানীয়
তৃণমূল
নেতারা।
এর
আগেও
ভোট
পরবর্তী
হিংসার
ঘটনায়
সিবিআই
আধিকারিকরা
বীরভূমে
গিয়েছেন।
শান্তিনিকেতনে
বিজেপির
মহিলা
সমর্থককে
ধর্ষণের
অভিযোগের
তদন্ত
গিয়েছিলেন
সিবিআই-এর
আধিকারিকরা।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী ১৫ টি খুন এবং ৬ টি ধর্ষণের মামলায় সিবিআই-এর তরফ থেকে ২৭ অগাস্ট ১১ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ২৯ অগাস্ট আরও সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে আরও বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিবিআই-এর তরফে যাঁরা তদন্ত করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ডিআইডি কিংবা এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক।
সন্ধের পরে কলকাতায় বাড়বে জলস্তর, বাংলা জুড়ে দুর্যোগ-দুর্ভোগের আশঙ্কায় সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের