জীবন্ত পোড়ানো আগে ৮ জনকে মারধর! বিধানসভায় রামপুরহাট নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব শুভেন্দু
সোমবার রাতে আটজনকে নৃশংসভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারার আগে মারধর করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক পরীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে। এদিকে বিধানসভায় রামপুরহাট (Rampurhat) নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার
সোমবার রাতে আটজনকে নৃশংসভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারার আগে মারধর করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক পরীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে। এদিকে বিধানসভায় রামপুরহাট (Rampurhat) নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যদিও তাঁর এই দাবিতে কোনও আমলা দিয়ে চায়নি সরকারপক্ষ।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট
সোমবার রাতের নৃশংস ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিন মহিলা ও ২ শিশু-সহ আটজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার আগে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। ইতমধ্যেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সোমবারের ঘটনায় মৃতদেহগুলির ওপরে পরীক্ষা চালিয়েছেন। এছাড়াো রামপুরহাট হাসপাতালে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তও করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবব, মতদের প্রথমে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। এরপর তাঁদের পুড়িয়ে মারা হয়।
বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে হামলা
প্রথমে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা বলেছিলেন, ঘরে নিরাপদে থাকতে বাইরের গেটে তালা লাগিয়েছিলেন নিজেরাই। এরপর বাইরে থেকে আগুন লাগানো হয়। কিন্তু পরে দেখা যায় সামনে গিয়ে হামলাকারীরা ঢুকতে না পারলেও, পিছনের একটি দরজা ভেঙে ঢোকে হামলাকারীরা। এরপর ভিতরে ঢুকে ব্যাপক মারধর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিধানসভায় আলোচনার দাবি
এদিন বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন বিরোধী দলের তরফ থেকে রামপুরহাটের ঘটনা ছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফেরার পরে সেই আলোচনার দাবি তোলেন তিনি। দরকারে ১৮৪ ধারায় আলোচনার দাবি তোলেন তিনি। যদিও সরকারের তরফ থেকে সেই দাবিকে কোনও আমল দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই দাবিতেই তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ২১, সরানো হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের
এখনও পর্যম্ত এই ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এদিন সকালে একজনকে ধরা হয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বগটুই গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। মৃতদের পরিবারের সদস্যরা আনারুলকে তাদের পারিবারিক সদস্যদের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু সেই নেতা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে গ্রেফতারের নির্দেশ। অন্যদিকে থানার আইসি, এসডিপিও এবং ডিআইজির কাজে গাফিলতি ছিল বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে জানিয়েছেন এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হবে, যাতে আর কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে গিয়ে পুড়ে যাওয়া বাড়ির জন্য ২ লক্ষ টাকা করে এবং প্রত্যেক মৃতের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা ঘোষণা করেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে ১০ জনের চাকরির বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন।
দেওয়া যাবে না আগাম শুনারির তারিখ! হিজাব বিতর্কে সংবেদনশীল না হতে পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের