বারাকপুরে খুনের ঘটনায় ধৃত দুই, নিজের নিরাপত্তা ছাড়তে চান 'লজ্জিত' অর্জুন
বারাকপুরের সোনার ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় বড় সাফল্য পুলিশের। দীর্ঘ প্রায় ৪০ ঘন্টা পর দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাওড়া থেকে সাকিল খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে জামশেদ আনসারি বলে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ধৃত দুজনকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের জেরা করে বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
ঘটনার সঙ্গে ধৃত দুজনের স্পষ্ট যোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে কামারহাটির এক দুস্কৃতিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের তরফে। ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকার সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুলিশ আধিকারিকরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার প্রায় ৪০ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে।
শেষমেশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুজনকে গ্রেফতার বড় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে আজ শুক্রবার ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সাংসদ অর্জুন সিং। ঘটনার পরেই বৃহস্পতিবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এমনকি আগের পুলিশ এবং বর্তমান পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ।
পাশাপশি রাজনৈতিক কারবারীদের মদতেই দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত বলেও কার্যত বোমা ফাটান। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায় শাসকদল। আর এর মধ্যেই আজ শুক্রবার ফের একবার পুলিশকে আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের। তাঁর কথায় আমি এত নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছি। কিন্তু আমার এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নেই। এই অবস্থায় তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার কথাও জানান বারাকপুরের সাংসদ।
তাঁর কথায়, সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এ দিকে আমি নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এজন্যে তিনি লজ্জিত বলেও মনে করেন। এমনকি বারাকপুরের তোলাবাজিদের একটা সিন্ডিকেট হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন অর্জুন। এমনকি জেলে থেকেও তোলাবাজি চলছে বলেও কার্যত বোমা ফাটান সাংসদ অর্জুন সিং। আর এহেন মন্তব্য ঘিরে নতুন করে অস্বস্তিতে তৃণমূল।