হাথরাস-বলরামপুরের ঘটনার বিরুদ্ধে পথে নামল সুন্দরবনবাসীরা
আমরা দলিত, এটাই আমাদের অপরাধ! উত্তরপ্রদেশের হাথরাস, বলরামপুরে নৃশংসভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে পথে নামলো সুন্দরবনের আদিবাসী, তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি, বিজেপি সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে পোড়ানো হয় যোগী - মোদির কুশপুতুল।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের একের পর এক ধর্ষণ, নির্যাতন ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এদিন মিছিল হয় সুন্দরবনের রাজপথে। সুন্দরবন লাগোয়া বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার বাইলানি, বিশপুর এলাকায়। যে মিছিলের অগ্রভাগে ছিল আদিবাসী তপশিলি জাতি ও উপজাতির যুবক-যুবতীরা।
তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি, আদিবাসী পরিষদের সভাপতি সুবল সর্দার, দলনেতা উত্তম দাসদের নেতৃত্বেই রাস্তায় নামেন কয়েকশো আদিবাসী, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি মানুষ। তাদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলান হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, বিশিষ্ট আইনজীবী প্রসেনজিৎ জানা, তৃণমূল কংগ্রেসের বিশপুর অঞ্চল সভাপতি চন্দ্রশেখর পাল।
পদযাত্রার মধ্য দিয়ে উত্তরপ্রদেশের একের পর এক নৃশংস নির্যাতনের ঘটনার বিরোধিতায় ধিক্কার ও প্রতিবাদ করেন তারা। এবং নির্যাতিতা দলিত পরিবারের পাশে থেকে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয় প্রতিবাদী মিছিল থেকে।
এছাড়াও উত্তরপ্রদেশে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথে রাহুল - প্রিয়াঙ্কা ও তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মন্ডল, মমতা ঠাকুরদের আটকানোর ঘটনা নিয়েও প্রতিবাদ করেন তারা। এবং সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কুশপুতুল দাহ করা হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল জানান, যে ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় নৃশংস ঘটনা। এই সরকারের শাসনে দলিত - তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদ নয়। ঘরের মেয়েরা নিরাপদ নয়। আজকের দিনে দলিতদের অপমান নির্যাতনের প্রতিবাদে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এখানকার তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাই দাঁড়াতে চেয়ে এই মহা মিছিলের আয়োজন করেছে রাজ্যের সুন্দরবন অধ্যুষিত আদিবাসী তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষ। আমরাও সেই প্রতিবাদে সামিল।