প্রোমোটার রাজের হাত থেকে নিস্তার নেই বিভূতিভূষণের বাড়িরও
প্রোমোটার রাজের হাত থেকে নিস্তার নেই বিভূতিভূষণের বাড়িরও
প্রোমোটার রাজের হাত থেকে নিস্তার নেই কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ভিটেবাড়িরও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট ফিরে শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে।
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পৈতৃকবাস ব্যারাকপুরে। এই ব্যারাকপুরের বাড়িতে বসেই একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখেছিলেন তিনি। আজ সেই বাড়িই ভেঙে পড়ার জোগাড়। জরাজীর্ণ পরিস্থিতি তার। বারবার মিনতি করেও কোনও ফল মিলছে না। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "আমি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ। ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে সুকান্ত সদনের পেছনে আমাদের বাড়ি 'আরণ্যক'। প্রায় দু'বছর ধরে আমাদের বাড়ির গা ঘেঁষে একটি বিশাল শপিং কমপ্লেক্স উঠছে। কাজ শুরু হওয়ার প্রথম দিকে আমাদের বাড়ির (পেছনের) পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয় আমাদের কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই, আরো বিভিন্নরকম উৎপাত চলতে থাকে। দিবারাত্র মাটির তলায় বোরিং-এর অসহ্য আওয়াজ, বাড়ির পিছনের দিকের বাথরুম ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়েছে প্রভৃতি।
অনেক পত্রিকা ও দূরদর্শনে এই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। পৌরসভার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানোর পরে উনি একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে বাড়ি ওরা মেরামত করে দেবেন অথবা ক্ষতিপূরণ দেবেন। বাড়ি যাতে ভেঙে না পড়ে সেইজন্য তখনকার মতো দু-তিনটি খুঁটি লাগিয়ে গিয়েছিলেন। এখন যা অবস্থা তাতে খুঁটি সহ দোতলার অংশ যে কোনোদিন ভেঙে পড়ে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। বহু জায়গায় তদবির করেছি কিন্তু কোনো রহস্যজনক কারণে কিছুই করতে পারছি না। যারা স্বচক্ষে দেখেছেন সকলেই খুব ভয় পাচ্ছেন আমাদের এই বাড়ির অবস্থা দেখে। জানি না আমরা কি অপরাধ করেছি। তবে কি ভদ্র মানুষদের দিন ফুরলো! বিভূতিভূষণের ব্যবহার করা অনেক মূল্যবান জিনিস ওই কাজের জন্য নষ্ট হয়েছে। আর কী কী ক্ষতি হবে জানি না।"
এরপরই এদিন বিকেল নাগাদ উপরের পোস্টটি ডিলিট করে একটি নতুন পোস্ট দেন। যেখানে তিনি লেখেন, "আমি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্রবধূ। আমি আজ দুপুরে আমাদের বাড়ি সম্পর্কে একটি তথ্য দিয়েছিলাম যে কীভাবে ব্যারাকপুর পৌরসভা আমাদের বাড়ির পেছনে একটি মল খুলতে গিয়ে দু'বছর আগে আমাদের বাড়ির পেছনের অংশ ভেঙে দিয়েছে এবং সারিয়ে দেবে বলেও কিছু করেনি। বহু জায়গায় দরবার করে দেখেছি আমাদের মতো ক্ষুদ্র ক্ষমতার লোকেরা এদের কোটি কোটি টাকার খেলায় কিছুই করতে অপারগ। ওদের কাছে বিভূতিভূষণ কে? তাঁর অনেক জরুরি লেখা, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি দুশ্চিন্তায় এখন হার্টের ও নার্ভের রুগী।"
করোনার বাড়তি খরচ মেটাতে লাগু হবে কোভিড-সেস! বাজেটে থাকতে পারে নয়া চমক