করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণ! দুপুর ২টোর পর আর খোলা থাকবে না বাজার ও দোকানপাট
রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। কলকাতার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও আক্রান্তদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকদিনের রেকর্ড প্রত্যেকদিন ভাঙছে। এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘন্টা আগে বাংলার করোনা প
রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। কলকাতার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও আক্রান্তদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকদিনের রেকর্ড প্রত্যেকদিন ভাঙছে। এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘন্টা আগে বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন, অক্সিজেন নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির কথা বলা হয়েছে। সে নিয়েও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে
নির্দিষ্ট সময়ের পর বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন
করোনাজনিত পরিস্থিতির জেরে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, বরানগর থানা ও বরানগর পুরসভার এক বৈঠক হয় সম্প্রতি। সেই বৈঠকেই বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বরানগরে বাজার ও দোকানপাট খোলা থাকবে। তারপর আর বাজার, দোকান খোলা রাখা যাবে না। এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
বরানগরে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক
উত্তর ২৪ পরগণাতে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। প্রত্যেকদিনে রেকর্ড সংক্রমণ হচ্ছে। সূত্র বলছে বরানগর এলাকায় বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর সেই তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে আসতেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। এরপরেই বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। সবথেকে বেশি বাজার থেকেই করোনার সংক্রমণ ঘটে। আর সে কারনেই তড়িঘড়ি বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কন্টেনমেন্ট তৈরির উপর জোর
কোনও পরিবার বা নির্দিষ্ট কোনও করোনা আক্রান্তকে আটকানোর কথা বলেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, ছোট কন্টেনমেন্ট জোনের পরিবর্তে বড় শহর, গ্রাম বা শহরতলির কথা ভাবুক রাজ্যগুলি। করোনা রুখতে এইসব এলাকা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এ সবকিছুই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে করতে বলা হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী, এইসব এলাকায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সব ভেহিকেল চলাফেরা করতে পারবে। কত পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেই। তারাই জনঘনত্ব, হাসপাতালের পরিকাঠামো, ম্যান পাওয়ারের কথা চিন্তা করে কন্টেনমেন্ট জোনের পরিধি ঠিক করবে। কোনও জায়গায় কোভিড পজিটিভ রেট ১০ শতাংশের ওপরে হলেই সেই স্থানকেও কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ভাবা যেতে পারে। একইভাবে কোনও এলাকার হাসপাতলের ৬০ শতাংশ বেড এক সপ্তাহের ওপর বুক থাকলে সেখানেও কন্টেনমেন্ট জোন করার বিষয়ে ভাবা যেতে পারে।
সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার পরেই ২৪ পরগণা
প্রায় ১৬ হাজার ছুঁই ছুঁই রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। সোমবারের হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৮৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮০০ জন। চিন্তা বাড়িয়ে কমছে সুস্থতার হার। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৬.৫৯ শতাংশ। বিগত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনে। আশার কথা বিগত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৪০৭ জন। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৪৩ হাজার ৯৫০ জন, মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯৪১ জনের। এমন সংক্রমণের পরেই নড়েচড়ে বসল উত্তর ২৪ পরগণার জেলা আধিকারিকরা।