হাড়োয়ায় লালন ও লোকসংস্কৃতি মেলা ১৬ বছরে পা দিল
হাড়োয়ায় লালন ও লোকসংস্কৃতি মেলা ১৬ বছরে পা দিল
বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে বরাবরই দেশ ও বিদেশের মাটিতে পৌঁছে দিয়েছেন লালন ফকির। আর সেই লালন ও লোকসংস্কৃতি মেলা ১৬ বছরে পা দিল হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদীর পাশে বাসাবাটী গ্রামে। এখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লালন ফকিরের গান, লোকসংস্কৃতির নাচের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন বহু শিল্পী।
শুধুই বাংলায় নয় ওপার বাংলা থেকে শিল্পীরা হাজির হয়েছেন লালন ফকিরের গানের ডালি নিয়ে। মিলেমিশে একাকার হয়েছে দুই বাংলার শিল্পীরা। বাসাবাটি গ্রামে তিন দিন লালনের আখড়া বসবে। রাজ্য দেশ বিদেশ থেকে বহু লালন লোকসংস্কৃতি মানুষের ভিড় জমেছে হাড়োয়াতে। বুধবার হাড়োয়ার বিডিও অফিস থেকে বাসাবাটি গ্রাম পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
ফিতে কেটে শুভ সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী, হাড়োয়ার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, উদ্যোক্তা নুরুল ইসলাম ও শফিক আহমেদ সহ বিশিষ্ট শিক্ষক মার্কন্ডেয় দাস সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্যে দুই বাংলার লোকসংস্কৃতি শিল্পীরা পদযাত্রা অংশগ্রহণ করেন তাদের বিভিন্ন বাজনা সরঞ্জাম নিয়ে। লালন ফকির প্রেমী মানুষেরা এদিন মঞ্চে লালনের লোকসংস্কৃতি গান ও নাচের মধ্য দিয়ে বহু শিল্প তুলে ধরেন। রীতিমতো মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। এই প্রাচীন সংস্কৃতিকে বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলে মনে করেন উদ্যোক্তা নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন শুধু দুই বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরা না, লালন ফকিররের লোকসংস্কৃতি সুন্দরবনের মানুষের মধ্যে মনে প্রাণে মিশে আছে। এই মাটির গন্ধ বাংলার ভারতবর্ষ তথা বিদেশ পৌঁছে দিতে হবে। এগুলো ভুলে গেলে বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টি ভুলে যেতে হবে। তাই জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে একে বজায় রাখাই আমাদের দায়িত্ব।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা