হস্তক্ষেপ চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি অর্জুনের! সাংসদকে ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
বারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে জল্পনা! কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই লাগাতার মুখ খুলে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলের। এমনকি প্রকাশ্যে পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। আর এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপা
বারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে জল্পনা! কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই লাগাতার মুখ খুলে অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলের। এমনকি প্রকাশ্যে পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। আর এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ।
মূলত বাংলার জুটমিলগুলির ভবিষ্যৎগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই এই চিঠি বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জুটমিল নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন করলে সেই মঞ্চে যাওয়ার কথা বলেছেন অর্জুন।
বলে রাখা প্রয়োজন, কাঁচা পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা ইতিমধ্যে বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই সিদ্ধান্ত বদলের দাবি জানাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ। আর তা না বদলালে খোদ কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অর্জুনের হঠাত এহেন ভোলবদল ঘিরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অনেকেই বলছেন, বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের তৃণমূল যোগ নাকি সময়ের অপেক্ষা। আর এর মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
বাংলার মুখমন্ত্রী ছাড়াও ওড়িশা, অসম ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকেও জুট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
Letter to Honourable CM of West Bengal @MamataOfficial ji on the issue of price capping on Raw Jute by the Jute Commissioner of India and saving the lives of Jute farmers, Jute workers and Jute industry. @egiye_bangla pic.twitter.com/VFLJKPss7b
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) April 29, 2022
তিনি লিখছেন, বারাকপুর এলাকায় ২০টি জুটমিল রয়েছে। শুধু তাই নয়, পাট শিল্পের সঙ্গে লক্ষাধিক চাষি জড়িত রয়েছে। কিন্তু চটকলগুলি পাটচাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা পণ্যের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের। আর তাতে এই সমস্ত চাষিভাইদের সঙ্কট আরও বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। আর এই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ।
অর্জুন সিং জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থও হবেন তিনি। এমনকি বিরোধী দলনেতাকেও এই বিষয়ে জানাবেন বলেও জানাচ্ছেন বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতা। তবে এর মধ্যেই অর্জুন সিংকে তৃণমূলে স্বাগত জানিয়েছেন দোলা সেন। তিনি বলেন, অনেকেই ভুল বুঝে চলে আসছেন। অর্জুনদাও চলে গেছিলেন। আসতে চাইলে স্বাগত। ফের একসঙ্গে কাজ করা যাবে বলে জনিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভার এই সাংসদের।
তবে কয়েকদিন আগেই অর্জুন সিংয়ের নাম না করেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে বিজেপি সাংসদের। অবশেষে তিনি বুঝতে পেরেছেন বিজেপি সরকার বাংলার জন্য কোনও কাজ করছে না। বাংলাকর প্রতি বৈমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এতে স্পষ্ট যে বিজেপি বাংলার ভালো চায় না। সেটা দেরীতে হলেও বুঝেছেন বিজেপি সাংসদ।
কুণাল ঘোষ দাবি করেন, কোনও বিজেপি সাংসদ যখন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার কাজ করছে না, বাংলার দাবি আদায়ের জন্য বা বাংলার সমস্যা সমাধানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে দরকার, তাহলে বুঝে নিতে হবে বিজেপি হল বাংলার শত্রু।