ক্ষতিপূরণ নয়, কংক্রিটের বাঁধ চাই, দাবি জানিয়ে গণপোস্টার
ক্ষতিপূরণ নয়, কংক্রিটের বাঁধ চাই, দাবি জানিয়ে গণপোস্টার
বিদ্যাধরী নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়া, মিনাখাঁ ব্লকের মোহনপুর, হরিণহুলা, চন্ডিবাড়ি, কালীবাড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এবং এখনো নোনা জলে ডুবে রয়েছে একাধিক চাষ জমি। এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার বন্যার কবলে পড়েছে বসিহাট মহাকুমার একাধিক ব্লক। তারপর নির্মাণ হয়েছে বাঁধ। আবার হয়েছে বাঁধ ভেঙে বিপত্তি। এবারেও ভরা মৌসুমে বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়েছে নদী। তারপরেও চলছে নদী বাঁধের কাজ। কিন্তু এতে খুশি নন সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে কংক্রিট বাঁধের আবেদন জানিয়েছেন তারা।
জানা গিয়েছে নদীমাতৃক এলাকা বসিরহাট মহকুমা বিস্তীর্ণ সুন্দরবন পার্শ্ববর্তী হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালি হাড়োয়া মিনাখাঁ সহ একাধিক ব্লক। গত কুড়ি বছরে একাধিকবার বড় বড় আকারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সুন্দরবনের একাধিক ব্লক। প্রশাসনের কাছ থেকে মিলেছে শুধুই আশ্বাস কিন্তু এক বছরে কোন কংক্রিট বাঁধের চিহ্ন দেখতে পারেনি গ্রামবাসীরা। তাই এবারের ক্ষতিপূরণ চান না তারা চান কংক্রিটের বাঁধ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধের কাজ চলছে। তবুও বারে বারে বাঁধ ভাঙ্গার মত ঘটনা ঘটছে। এতে গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম ছুটেছে। বহু ক্ষেত্রেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে চাষের জমি। জলাশয়ে মাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে নোনা জল ঢুকে। তাই দীর্ঘ কংক্রিটের নদীবাঁধ দাবি করছেন সুন্দরবনবাসী।
এ বছরের বর্ষা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে সেচ দপ্তর প্রশাসনেরও। বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। কিছু কিছু জায়গায় মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, আবার ভাঙছে। প্লাবিত হচ্ছে বারে বারে তার জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন ব্লক প্রশাসন এবং গ্রাম পঞ্চায়েত।
কিন্তু গ্রামবাসীদের আর্জি, তাদের ক্ষতিপূরণ লাগবেনা। তারা বলছেন ক্ষতিপূরণ চাইনা। চাই কংক্রিটের বাঁধ। তা নিয়ে রীতিমতো পোস্টার বানিয়ে গ্রামে গ্রামে দেয়ালে সাঁটলেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি, গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করলেন গ্রামবাসীরা। তাদের একটাই দাবি, ক্ষতিপূরণ চাইনা কংক্রিটের বাঁধ চাই তা নিয়ে রীতিমতো বড়োসড়ো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসীরা। তারা বলেন বাঁধ কংক্রিটের না হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামবো। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।