তৃণমূল কর্মীর বন্দুক হাতে দাপাদাপি, অস্বস্তি ঢাকতে পাখির মারতে ব্যবহার বললেন পঞ্চায়েত প্রধান
বিধানসভা ভোট আসতেই ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনা, তৃণমূল কর্মীর বন্দুক হাতে দাপাদাপি
ভোট আসতেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে বাংলায়। হুমকি, পালটা হুমকি ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। শুধু তাই নয়, এই তৃণমূল কর্মীকে বন্দুক হাতেও দাপাদাপি করতে দেখা গিয়েছে। সেই ছবিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। ভোটের আগে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, ভোট আসতে না আসতেই ফের তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিদের দাপাদাপি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি বিজেপির।
প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী ‘দ্বন্দ্ব’
রবিবার সকালে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গায়। অঞ্চল সভাপতি বনাম পঞ্চায়েত প্রধানের 'দ্বন্দ্ব'। জানা যায়, অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক অনুগামীর বাড়িতে লাঠি, বন্দুক নিয়ে হামলার অভিযোগ চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ূন রেজা চৌধুরী ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মহিলা সহ আহত ৩ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই দাদাদাপি। যদিও ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসলেও এখনও থমথমে এলাকা।
অঞ্চল সভাপতির অনুগামীর বাড়িতে বন্দুক হাতে চড়াও
ভোটের আগে অঞ্চল সভাপতি বনাম পঞ্চায়েত প্রধানের 'দ্বন্দ্বে' উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অঞ্চল সভাপতির অনুগামীর বাড়িতে বন্দুক হাতে চড়াও হয় পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীরা। বন্দুক হাতে চড়াও পঞ্চায়েত প্রধানের দাদা। মহিলাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। প্রধানের দাবি তার অনুগামী সঈদুল ইসলাম বাবুর জামাই মোঃ মোমিন যার নামে দেগঙ্গা থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে সে শনিবার রাতে মারধর করে অঞ্চল সভাপতির অনুগামীকে। অভিযুক্ত মোমিন লুকিয়ে ছিল তার শ্বশুরবাড়ি তথা অঞ্চল সভাপতির অনুগামী সঈদুল ইসলামের বাড়িতে। আজ রবিবার সকালে উত্তেজিত জনতা বাড়ি গিয়ে তাকে খুঁজতে যায়। প্রধানের দাবি, তিনি তখন পাশেই একটা সমস্যার জন্য ছিলেন। ঘটনার পরেই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে দাপাদাপির ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল
ভোটেরক আগে এমন ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে চলে দাপাদাপি। একাধিক সংবাদমাধ্যমে ধরা পড়ে সেই ছবি। অস্বস্তি ঢাকতে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, ভেড়িতে মাছ চাষে সমস্যা করে পাখি। আর পাখি মারতেই নাকি এই বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। দোষ প্রমাণ হলে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি শাসকদলের।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের 'প্রতীক' বঙ্গবন্ধু, বাংলায় আসবে নতুন ভোর, বললেন মমতা