অভিষেক উন্নয়নকে বাজি ধরলেন বিজেপির এজেন্সির মোকাবিলায়! পেশ ৮ বছরের রিপোর্ট কার্ড
সাংসদ হিসেবে আট বছর পূর্তি হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসেবে আট বছর পূর্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেশ করলেন রিপোর্ট কার্ড। বিজেপির এজেন্সির মোকাবিলায় তিনি হাতিয়ার করলেন উন্নয়নকেই।
সাংসদ হিসেবে আট বছর পূর্তি হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসেবে আট বছর পূর্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেশ করলেন রিপোর্ট কার্ড। বিজেপির এজেন্সির মোকাবিলায় তিনি হাতিয়ার করলেন উন্নয়নকেই। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে, মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজই আমাদের লক্ষ্য।
ডায়মন্ড হারবারে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়ে উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন অভিষেক। বিগত আট বছর ধরে তিনি মানুষের পাশে থাকাই নিজের ধর্ম বলে মনে করেছেন। শনিবার তিনি সেই খতিয়ান তথা উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন। পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শিক্ষার উন্নতি, স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে খেলাধূলার অগ্রগতি তিনি রিপোর্ট কার্ডে তুলে ধরলেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার পৈলানের মঞ্চ থেকে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা। ১৪০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ফলতা-মথউরাপুর জলপ্রকল্প তৈরি করা হবে সেই লক্ষ্য নিয়ে। এই প্রকল্পটি দেশের বৃহত্তম জল প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হতে চলেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর ফলে ৭.৯ লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বজবজে অত্যাধুনিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। সেখানেও ৫ লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় যেমন উন্নততর পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে, তেমনই উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো থেকে পলিটেকনিক কলেজ ও আইটিআই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। নারীকল্যাণে জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় তৈরি হয়েছে বাড়ি। কৃষক বাজার তৈরি করা হয়েছে।
তারপর করোনার সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে যে কাজ করেছেন, তা খুব কম সাংসদই করেছেন। করোনার সময়ে তিনি প্রায় ১৩ হাজার পরিবারকে খাইয়েছিলেন। চালু করেছিলেন ডক্টর অন হুইলস। প্রচুর ওষুধ ও ভ্যাকসিনও পৌঁছে দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের ঘরে ঘরে। গণ কোভিচ পরীক্ষার বন্দোবস্তও করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ত্রাণ নিয়ে। উন্নততর নাগরিক পরিষেবা প্রদান করতে যা যা করণীয় তিনি করেছেনষ মন্দির-মসজিদের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়ন থেকে শুরু করে খেলাধূলার মানোন্ননে বিশেষ ভূমিরা নিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন 'দিদিকে বলো'র ধাঁচে নতুন প্রকল্প 'এক ডাকে অভিষেক' চালু করছেন। মানুষের যে কোনও অভাব-অভিযোগে এই পরিষেবায় আপনারা পাশে পাবেন অভিষেককে। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারে প্রথম এই পরিষেবা চালু করছেন অভিষেক। শনিবার তিনি পরিষেবার উদ্বোধন করেন। এক ফোনেই পাওয়া যাবে অভিযেকের সাড়া। অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারের মানুষজন। এ জন্য তিনি চালু করেছেন হেল্প লাইন নম্বর। সেই হেল্প লাইন নম্বর হল ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭। এই নম্বরে ফোন করলেই সঙ্গে সঙ্গে মিলবে সমাধান।