টিটিগড়ে স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ৪, জোরাল হচ্ছে প্রাক্তন ছাত্রের যোগ
টিটিগড়ে স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ৪, জোরাল হচ্ছে প্রাক্তন ছাত্রের যোগ
টিটাগড়ে স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার চার জনের মধ্যে এক জন ওই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। দফায় দফায় তাঁদের জেরা করে সত্যি উদঘাটনের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছেন তাঁরা মজার ছলে বোমা মেরেছিল। কিন্তু এর নেপথ্যে আসল কারণ কি তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
স্কুলে বোমাবাজি
টিটাগড়ে হঠাৎই স্কুলের ছাদে বোমা বিস্ফোরণ। বোমাবাজি বা বোমা বিস্ফোরণ টিটাগড়ে নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে স্কুলের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণ অবশ্যই চমকে গিয়েছে রাজ্যবাসীকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। কেউ বাইরে থেকে স্কুলে বোমা মেরেছে না আগে থেকে বোমা মজুত ছিল ছাদের উপরে তা িনয়ে ধন্ধে রয়েছে পুলিশ। ঘটনায় গতকালই ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করে রবিবার ভোটে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার ৪
গ্রেফতার হওয়া চার যুবকের নাম মহম্মদ আয়রন, শেখ বাবলু, মহম্মদ সাদিক এবং রোহন। তাদের মধ্যে একজন আবার স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র। তারা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশি জেরার মুখে প্রাথমিক ভাবে তারা জানিয়েছে খেলার ছলে তারা বোমা মেরেছিল স্কুলে। কিন্তু অভিযুক্তদের এই দাবি মেেন িনতে রাজি নয় পুলিশ। এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত সকলেরই বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে।
অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর
এদিকে এই ঘটনা ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের কড়াশাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘটনা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিিন অভিযোগ করেছেন রাজ্যে বোমাবাজির সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন।
আতঙ্কে বাসিন্দারা
এদিকে ঘটনার পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। শিক্ষকরাও উদ্বেগে রয়েছেন। স্কুল চলাকালীন যেভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে বড় কিছু ঘটতে পারত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁকা। কীভাবে স্কুলের ছাদে বোমা মজুত করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। স্কুলের ছাদে না রেখে বোমাগুলি অন্য কোথাও রাখলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। পড়ুয়াদের প্রাণহািনর আশঙ্কাও থাকতে পারত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
প্রকাশ্য অন্দরের অসন্তোষ, মদন মিত্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ায় বিস্ফোরক প্রসূন