ভারত ছাড়িয়ে সুদূর নিউজিল্যান্ডে স্থাপিত গণেশ মন্দির, বৃহত্তর পরিবার হয়ে ওঠার বার্তা
গণেশ বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবতা। বিঘ্ননাশকারী সিদ্ধিদাতা গণেশ শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক বলে পূজিত হন। সিদ্ধিদাতা গণেশকে আবাহন করেই শুরু হয় অন্যান্য দেব-দেবীর পুজো।
গণেশ বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবতা। বিঘ্ননাশকারী সিদ্ধিদাতা গণেশ শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক বলে পূজিত হন। সিদ্ধিদাতা গণেশকে আবাহন করেই শুরু হয় অন্যান্য দেব-দেবীর পুজো। এবার ভারত ছাড়িয়ে সেই গণেশের মন্দির স্থাপিত হল সুদূর নিউজিল্যান্ডে।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গণেশ মন্দির নির্মিত হয়। ক্রাইস্টচার্চ থেকে এই মন্দিরের নির্মতারা এক ফেসবুক বার্তায় জানান, আমরা ভারতে আমাদের সহকর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে আমাদের এই স্থাপনার বিষয়ে ভাগ করে নিতে চাই৷ আমরা নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে প্রথম গণেশ মন্দির স্থাপন করেছি।
এই ফেসবুক বার্তায় জানানো হয়েছে, একটি নতুন যুগের সূচনা হল। ভগবান শ্রী গণেশের কৃপায়, ভক্তদের শুভেচ্ছা ও প্রার্থনায় মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গণটি সফলভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানকার ভক্তরা গণেশ পুজোয় অংশ নেন। এবং পুজোর অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এ জন্য সমস্ত ভক্তদের ধন্যবাদ।
কর্তৃপক্ষের তরফে আরও বলা হয়, যাঁরা ভক্তিমূলক গান, ভজন এবং নৃত্য পরিবেশন করেছেন, তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ। আপনরা একটি সম্পূর্ণ নতুন স্পন্দন এনেছেন এই অনুষ্ঠানে। ভারত-সহ সারা বিশ্বব্যাপী ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা যাঁরা এই পুজো ও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি. আমরা আশা করি শীঘ্রই তাঁদের সঙ্গে এই মন্দির প্রাঙ্গনে দেখা হবে। তাঁদেরকে আমরা এই মন্দিরে স্বাগত জানিয়ে রাখলাম।
ফেসবুকে তাঁরা আরও জানান, আমরা ক্রাইস্টচার্চে ছোটো কিন্তু উৎসাহী এবং কেন্দ্রীভূত গোষ্ঠী, যাঁরা আবেগের সঙ্গে মনে করে যে, ক্রাইস্টচার্চে একটি হিন্দু মন্দির গড়ার তাঁদের অন্যতম সাফল্য। হিন্দু মন্দির নির্মাণের পূর্ববর্তী বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি। কখনই খুব বেশি আকর্ষণ অর্জন করতে পারিনি আমরা। বিভিন্ন কারণে আমাদের আবেগ বাস্তবায়ন হয়নি।
তাঁরা এই মর্মে একটি আবেদনও করেছিলেন সম্প্রতি, ক্রাইস্টচার্চে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে দয়া করে আমাদের সাথে যোগ দিন। আমরা বিভ্রান্ত নই। তবে আমরা মনে করি যে এটি একটি সহজ কাজ হবে, যদি সবাই আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এটি একটি সফল প্রচেষ্টা হয়ে রয়েছে, এটাই আমাদের পাওনা। ঈশ্বরের করুণাল আমরা সফল হয়েছি।
হিন্দু সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে এবং হিন্দু ধর্ম ও আমাদের বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে আমাদের ও আমাদের শিশুদেরকে উপাসনা করা শিখতে এই মন্দির গড়া আবশ্যক হয়ে পড়েছিল। আমরা সবাই একটি বড় পরিবার হিসাবে একসঙ্গে উৎসবগুলি উদযাপন করতে সক্ষম হব এবার থেকে।