'রুস্তম' রিভিউ : ম্যাড়ম্যাড়ে ছবিতেও উজ্জ্বল অক্ষয়!
অভিনয় : অক্ষয় কুমার, ইলিনা ডিক্রুজ, এষা গুপ্ত, অর্জন বাজওয়া, কুমুদ মিশ্র, পবন মলহোত্রা
পরিচালনায় : টিনু সুরেশ দেশাই
১৯৫৯ সালের কুখ্যাত নানাভতি মামলার প্রেক্ষাপটেই 'রুস্তম' ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক টিনু সুরেশ দেশাই। টিনু বাবুর কাছে একটাই প্রশ্ন, নানাভতির ঘটনায় কি মশলা কম পড়িয়াছিল? যে আপনি তাতে আরও মশলা ঢেলে রেসিপিটি একেবারে বরবাদ করে দিলেন।
ছবিতে অতিরিক্ত সাসপেন্স তৈরি করতে গিয়ে না আসল গল্পের উত্তেজনাটা ধরে রাখতে পারলেন না নতুন করে কোনও কৌতুহল তৈরি করতে পারলেন পরিচালক। বিষয়টা জগাখিচুড়ির পর্যায়ে গিয়েই থমকে গেল।

ছবির পটভূমি
নৌসেনা আধিকারিক রুস্তন পাভরি (অক্ষয় কুমার), যার কাছে দেশ সবার আগে। সুন্দরী স্ত্রী সিন্থিয়া (ইলিনা ডিক্রুজ) তাঁর সুখী বিবাহিত জীবন। সে আচমকা জানতে পারে তার স্ত্রীয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
পরে সে জানতে পারে তারই বন্ধু বিক্রম মাখিজার সঙ্গেই তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। রুস্তম বিক্রমের বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে আত্মসমর্পণ করে।
খুনি হওয়া সত্ত্বেও ধীরে ধীরে সবকিছু রুস্তমের পক্ষে ঘটতে শুরু করে। রুস্তম দেশপ্রেমী? দেশদ্রোহী? নাকি খুনি? তা নিয়েই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। রুস্তম কি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনটা ঘটিয়েছে? নাকি রাগের মাথায় করে ফেলা একটা ভুল। যদিও উত্তর পেতে গেলে আপনাকে থিয়েটারে যেতে হবে। এর থেকে বেশি বলে দিলে সিনেমার কৌতুহলটাই শেষ হয়ে যাবে।
পারফরম্যান্স
এই ছবির একমাত্র পরিত্রাতা অক্ষয় কুমারই। নিজের পোক্ত অভিনয়, অসাধারণ ম্যানারিজস আর স্বতঃস্ফূর্ত রোমান্টিকতায় দর্শকদের মুগ্ধ করতে একশো শতাংশ সফল খিলাড়ি। কোর্টরুমের মেলোড্রামাটা বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয়ই।
অক্ষয়কে বাদ দিলে উল্লেখ করার মতো এই ছবিতে সেভাবে কিছুই মনে দাগ কাটে না। শুধু কমিক টাইমিং নয়, সিরিয়াস চরিত্রও যে দারুণভাবে সামলে নিতে পারেন আকি তার উদাহরণ বার বার দিয়েছেন তিনি, এবারেও তার কাজে তার অন্যথা হয়নি।
আমাদের মত
তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই ছবিটি একবার নিশ্চয় দেখতে পারেন। একবার দেখা হিসাবে খুব একটা খারাপ নয় তবে একটা ঢিলেঢালা বটেই। তবে নানাভতির ঘটনা নিয়ে বেশি পড়াশোনা করে সিনেমাটি দেখতে যাবেন না দয়া করে, তাহলে সিনেমা হলে বসে থাকাটাও মুশকিল হবে।