মুক্তি পেল গুলাবো সিতাবো, পুরো ছবিতে ছাপ রেখে গেলেন অমিতাভ বচ্চন
মুক্তি পেল গুলাবো সিতাবো, পুরো ছবিতে ছাপ রেখে গেলেন অমিতাভ বচ্চন
চিত্র পরিচালক সুজিত সরকার ও লেখিকা জুহি চতুর্বেদির একত্রিত প্রয়াস সবসময়ই দর্শকদের মন জয় করতে সফল হয়েছে। ভিকি ডোনার, অক্টোবর ও পিকুর পর এই জুটি ফিরে এসেছেন 'গুলাবো সিতাবো’ নিয়ে। যা শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে।
ছবির সেট তৈরি করা হয়েছে লখনউতে, যেখানে ছবির মুখ্য চরিত্র অমিতাভ বচ্চন ওরফে মির্জা কৌতুহলী মুখ নিয়ে অলিগলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবে এই শুটিংটি যখন ব্যস্ত শহরে হয় অমিতাভকে দেখে কেউ চিনতে পারেননি। এতটাই দারুণ ছিল মেকআপ। ফিরে আসা যাক মির্জা এবং তাঁর দীর্ঘকালের ভালোবাসা ফতিমা হাভেলিতে (তাঁর বেগমের নামানুসারে)। চিত্রনাট্য বহু পার্শ্বচরিত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে এবং তারপর আসে পালা বাণী রাস্তোগী ওরফে আয়ুষ্মান খুরানার, একজন স্ট্রীট–স্মার্ট চ্যাপ যিনি ফতিমা হাভেলির ভাড়াটেদের মধ্যে একজন। প্রাচীন লোককাহিনীতে গুলাবো–সিতাবো পুতুলের মতোই মির্জা ও ব্যাঙ্কির মধ্যেও সবসময় তিক্ততা বর্তমান। প্রাচীন লোককাহিনী অনুযায়ী এই গুলাবো–সিতাবো দুই শ্যালিকা, যারা একে–অপরের সঙ্গে ঝগড়া করলেও একে–অপরের থেকে দূরে থাকতে পারেন না। দুই পুতুলের মধ্যেকার সম্পর্ককে সুন্দরভাবে এঁকেছেন জুহি চতুর্বেদি এই ছবির মুখ্য চরিত্রদের মধ্যে। ছবিতে দেখানো হয়েছে ফতিমা হাভেলির প্রতি মির্জার অসীম ভালোবাসা।
আবারও বলতে হয় এই ছবির অধিকাংশ দায়িত্বই পালন করেছেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি যেভাবে মির্জা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন তা দেখার পর যদি আপনি তাঁর ভক্ত নাও হন তবে এই ছবি দেখার পর হয়ে যাবেন। ব্যাঙ্কি, যাঁর তিন বোন ও মায়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর ওপর, তাঁরও জীবন ও জীবিকা নিয়ে হাল্কা সংগ্রামের কথা তুলে ধরা হয়েছে চিত্রনাট্যে। ২ ঘণ্টার এই ছবিতে আমরা কিছু দারুণ সহ–অভিনেতাদের দেখতে পাব, কিছুক্ষণের সফরে এটা খুব পরিস্কার হয়ে যাবে যে একজন এই হাভেলিকে নিজের নামে করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন এবং অন্যরা বাড়িওয়ালার সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত। যদিও এ সবের মধ্যেই সরকারি অফিসার গণেশ শুক্লা তথা বিজয় রাজ প্রবেশ করেন, যিনি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের আধিকারিক, তিনি এই ৭০ বছরের পুরনো হাভেলিতে ঐতিহাসিক মূল্য খুঁজে পান। ব্রিজেন্দ্র কলা, যিনি আইনজীবী ক্রিস্টোফার ক্লার্কের ভূমিকায় অভিনয় করেন তাঁর নাম বিশেষভাবে বলতে হয়। তাঁর সাবলীল অভিনয় ও একটা লাইনের শব্দই দর্শকদের মুখে হাসি এনে দেবে।
বেগম চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুখ জাফার যাঁর কথা না বললেই নয়। তাঁর চরিত্র মনে রাখার মতোই। সবশেষে বলা যায় লকডাউনের সময় বাড়িতে বসে ভালো কিছু দেখার নাম 'গুলাবো সিতাবো’ হতেই পারে।
'বেয়াদবি বড়দের থেকে শিখেছি'! ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন নোবেল