হল না আরেকটি 'টয়লেট এক প্রেমকথা ' অক্ষয়ের 'প্যাডম্যান' অবতারে মজল না দর্শকদের মন
টপকানোর জন্য একাধিক হার্ডল। সংশয়, কুসংস্কার, অদ্ভুত আচার, শেষ পর্যন্ত গ্রামের থেকে একঘরে হয়ে যাওয়া। কিন্তু নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাননি প্যাডম্যান। শুধু বাইরের থেকেই নয়, পরিবারের থেকেও সামাণ্য সমর্থন পাননি। স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন, এমনতি মাও বলেছেন তাঁর সঙ্গে থাকবেন না।

[আরও পড়ুন:বলিউডি খানদের পিছনে ফেলে দৌড়চ্ছেন রণবীর আলাউদ্দিন খিলজি, ক্যারিশমায় মজে আট থেকে আশি]
বিরতির আগে পর্যন্ত ছবির প্রথম ১৪০ মিনিট যেভাবে প্যাডম্যানে দেখানো হয়েছে তাতে অরুণাচলম অর্থাৎ সত্যিকারের যিনি প্যাডম্যান তাঁর সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। যেখানে লক্ষ্মীর পদক্ষেপের জন্য নিজের গুরুতর সংকল্প নিয়ে কীভাবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন তার দিশা পাচ্ছিলেন না। এই অবধি সবই ঠিক ছিল।

কিন্তু এর পর যা হল তাতে এটা একটা অংশে পরিণত হল। প্যাডম্যান ভালোভাবে বানানো হয়েছে। ছবির চিত্রনাট্য মূলত সনন্দ কিরকিরে লিখেছেন তবে তাতে নিজের কিছু ইনপুট দিয়েছেন পরিচালক বালকি। ছবি পরিচ্ছন এবং পিসি শ্রীরামের সিনেম্যাটোগ্রাফি এবং চন্দন আরোরা এডিটিংও ঝকঝকে। তবে তারপরেও সামাজিক ভাবে দারুণ বার্তাবহক হয়েও ছবিটি ভালো ছবির মধ্যে পড়ল না।

মূল গল্পটি তামিলনাড়ুর হলেও সিনেমায় চরিত্র গুলিকে মধ্য ভারতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছ, এটাই ছবিকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ছবিতে সময়ের ফ্রেম নিয়ে এতবেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে সেটাও ছবির স্বচ্ছন্দ গতিকে রুদ্ধ করেছে।

ছবিতে সামাজিক কাজকর্মের নিযুক্ত সোনম কাপুর যাঁকে বালাকি চিত্রনাট্যে ঢুকিয়েছেন। গ্রামে স্বাস্থ্যের পরিমন্ডল আনতে এর উপস্থিতি থাকছে ছবিতে। ছবিতে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও। ছবিতে নায়ক সাফল্যের ধাপ পেরোনোর পর পৌঁছে গিয়েছেন আইআইটির অন্দরেও। সেখানই কোথাও ছন্দ হারিয়েছে ছবির গতি। টয়লেটে এক প্রেমকথা যে স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল, এইসব কারণেই এই ছবিটি খিলাড়ি অক্ষয়ও টেনে তুলতে পারলেন না।
বলিউডির ছবির পৌরুষ প্রাধান্য এই ছবিকে পিছিয়ে দেওয়ার আরও একটি কারণ। ছবির ঝকঝকে উপস্থাপনা থাকলেও সত্যের থেকে বেশ খানিকটা দূরে সরে যাওয়াটাই এই ছবিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছতে দিল না।
