না বলা প্রেম কতটা গভীর হতে পারে 'অক্টোবর'-এ প্রমাণ করলেন পরিচালক সুজিত
একটা মন খারাপের বিকেলে কিছুটা আলগা ভালো লাগা কোথাও যেন মিশে থাকে। আর দুটি আলাদা প্রবৃত্তিকে একাত্ম করতে পারে একমাত্র কিছু চেনা আবেগ। সেই আবেগের প্রতিটি পরত যেন নিজের মত করে সাজিয়েছেন পরিচালক সুজিত।
একটা মন খারাপের বিকেলে কিছুটা আলগা ভালো লাগা কোথাও যেন মিশে থাকে। আর দুটি আলাদা প্রবৃত্তিকে একাত্ম করতে পারে একমাত্র কিছু চেনা আবেগ। সেই আবেগের প্রতিটি পরত যেন নিজের মত করে সাজিয়েছেন পরিচালক সুজিত সরকার। কী কী বিশেষ উপাদানে তিনি এই ছবিকে সাজিয়েছেন দেখে নেওয়া যাক।
ছবির গল্প
দিল্লির একটি নামী হোটেলের ইটার্ন ড্যান(বরুণ ধওয়ান)। হোটেলটিতে ড্যানের সঙ্গে আরও অনেকেই কাজ করতে শুরু করেন। এরকম এক সময়ে ড্যানের কাছাকাছি আসেন শিউলি ( বনিতা সাধু)। বনিতা একদিন আচমাকই হোটোলে দুর্ঘটনার শিকার হন। চলে চিকিৎসা, হাসপাতালে ছোটাছুটির চেনা গল্প। কিন্তু তার মধ্যেও, কোথাও যেন এক রহস্যময় আবেগ ঘুরপাক খায় শিউলি আর ড্যানের মধ্যে। তাঁদের মনের পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা প্রেমকে উদযাপন করেছে এই ছবির কাহিনি বিন্যাস। যা না দেখলে উপভোগ করা কঠিন!
অভিনয়
'বদ্রীনাথ কী দুলহনিয়া' থেকে বহু ক্রোশ দূরে গিয়ে ধরা দিলেন 'অক্টোবর'-এর বরুণ। ছবিতে সুজিতের ঘরানায় পুরোপুরি নিজেকে ঢেলে দিয়েছেন তিনি। নবাগতা বনিতা সমস্তটা দিয়ে চেষ্টা করে গিয়েছেন , এই ছবিতে তাঁর স্ক্রিনটাইম আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে। কিন্তু প্রেমের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বরুণও শিউলির জুটি একে অপরকে কম্প্লিমেন্ট দিয়ে গিয়েছে।
পরিচালনা
'ভিকি ডোনার' থেকে 'পিকু'-এর পথ চলার রাস্তার মাঝেই কোথাও রাখতে হবে 'অক্টোবর'-ক। এই ছবিতে সবাইকে ছাপিয়ে যদি কারোর নাম উঠে আসে তাহলে তা পরিচালক সুজিত। অসামান্য দক্ষতায় ছবির সমস্ত সংবেদনশীলতা-আবেগকে পাকাপোক্তভাবে সাজিয়েছেন তিনি। ফিল্মের গতিকে যেভাবে দরকার সেভাবি তিনি নিয়ে গিয়েছেন।
সবশেষে
না বলা প্রেম কতা গভীরতা পেতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন সুজিত সরকার। বহু প্রেম এরকম থাকে, যার পরিণতিতে আবেগটাই ফুরিয়ে যায়, আর তা পরিণতি না পেলে অনন্তের পথ ধরে চলতে থাকে একটা অগাধ ভালোলাগা। ... ভালোলাগা থেকে ভালোবাসার সফর নিয়েই ছবি 'অক্টোবর'।