রহস্য নাকি অন্ধকারের আতঙ্ক! 'অন্ধাধুন'-এর গল্পে কে কাকে ছাপিয়ে গেল
যে কোনও খোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনে প্রয়োজন আলো। অন্ধকারে পরতে পরতে গভীরতা থাকলেও তার মধ্যে কিছু কিছু খুঁজে বার করা কঠিন।
যে কোনও খোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনে প্রয়োজন আলো। অন্ধকারে পরতে পরতে গভীরতা থাকলেও তার মধ্যে কিছু কিছু খুঁজে বার করা কঠিন। শ্রীরাম রাঘবনের ছবি 'অন্ধাধুন' আলো-অন্ধকারের খেলায় এক অদ্ভুত রহস্য উন্মোচন করেছে। যে রহস্যের পরতে পরতে রয়েছে রক্তাক্ত পর্ব। কখনও মানসিক ক্ষত, কখনওবা শারীরিক ক্ষত।
প্রেক্ষাপট
এই গল্প শুরু হয়েছে আকাশকে (আয়ুষ্মান খুরানা) দিয়ে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আকাশ একজন পিয়ানোবাদক। আকাশ খোঁজ করে চলেছেন একটি মন ছুঁয়ে যাওয়ার 'সুর'-এর জন্য। একটি ঘটনার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় সোফির (রাধিকা আপ্তে)। অন্যদিকে, প্রমোদ সিনহা (অনিল ধওয়ান) একজন বলিউড স্টার। যিনি বর্তমানে লাইমলাইটেরক গণ্ডির বাইরে। তাঁর অল্পবয়সী স্ত্রী সিমি (তাব্বু) , নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখে চলেছে। এই স্বপ্নের জালে কোথাও জড়িয়ে পড়ে আকাশ, তার সঙ্গে থাকে সোফিও। ক্রমেই ঘটনার ঘনঘটা একটি রহস্যের দিকে এগোতে থাকে।
অভিনয়
ছবির শান্ত-সাবলীল গতির সঙ্গে কোথাও মিশে গিয়েছেন রাধিকা আপ্তে। একাধিক ওয়েব সিরিজ থেকে ফিল্মে তিনি যেভাবে চমক দিয়ে চলেছেন এই ছবিও সেই তালিকায় রয়েছে। আয়ুষ্মান খুরানা এই ছবির সম্পদ । অন্যদিকে, নিজের চেনা অভিনয়ের ছন্দে ধরা দিয়ে আরও একবার মন কেড়েছেন টাব্বু।
পরিচালনা
রহস্য, ভয়, আতঙ্কের মতো অনুভূতিকে এক সুতোয় গেঁথে, তাকে সাবলীল ছন্দে বয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন। স্ক্রিনপ্লের সঙ্গে ছবির গল্পের গতিকে সামঞ্জস্যে রেখেছেন পরিচালক । আর ছবি জুড়ো ক্রমেই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর মুন্সিয়ানা।
সবশেষে
ব্যস্ত জীবনে কয়েকঘণ্টা নিজেকে সময় দিতে চাইলে এই ছবি একা গিয়েই প্রেক্ষগৃহে দেখে আসতে পারেন। কোনও 'ছোটগল্প' পড়ার পর যে অনুভূতি জাগে, 'অন্ধধুন' সেই অনুভূতি আপনাকে দিতে বাধ্য।