সিনেমা হলে মুক্তি না পাওয়া এই সিনেমাগুলি দেখতে পারেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে
অনেক সিনেমা রয়েছে যেগুলি সেন্সর বোর্ড স্বইচ্ছায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে দেয়নি। সেগুলি যাতে কোনদিন মুক্তি না পায় তার ব্যবস্থা করেছেন তারা। তবে তার মধ্যে এমন কিছু বলিউড সিনেমা রয়েছে যেগুলি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিল। এগুলি আপনি প্রেক্ষাগৃহে না দেখতে পেলেও হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম বা ইউটিউবে দেখতে পাবেন। দেখে নিন সেই সিনেমার তালিকায় কোন কোন ছবি রয়েছে।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বোখরা
সিনেমাটি ছিল মূলত নারীকেন্দ্রিক ছবি। এই ছবিটি মুক্তির জন্য আটকে দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব। প্রকাশ ঝা-র প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি। তবে এখানে অভিনয় করেছিলেন রত্না পাঠক সহ কঙ্গনা সেন শর্মার মতন তাবড় তাবড় অভিনেতা -নেত্রীরা। সিনেমাটি মুক্তি না পাওয়ার কারণে সেই সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বলিউড সহ অন্যান্য অনুগামীরাও। মূলত সিনেমাটি চারটি নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। সিনেমাটি আপনি দেখতে পাবেন অ্যামাজন প্রাইমে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে
এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে দেয়নি সেন্সর বোর্ড। যদিও সিনেমাটি যদি আপনি দেখতে চান তাহলে দেখতে পারেন নেটফ্লিক্সে। ২০০৪ সালে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছিল। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন কে কে মেনান, আদিত্য শ্রীবাস্তব, পবন মালহোত্রা, জুকির হোসেন। সিনেমাটি অপরাধমূলক সিনেমা। ১৯৯৩ সালে বোম্বে বোমা বিস্ফোরণের ওপর কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল সিনেমাটি।
পাঞ্চ
অনুরাগ কাশ্যপের প্রথম ছবি ছিল পাঞ্চ। সিনেমাটি সেন্সর বোর্ড মুক্তি পেতে দেয়নি। সিনেমাটির থ্রিলার ভিত্তিক একটি সিনেমা ছিল। যেটি তৈরি হয়েছিল জোশী অভঙ্কর সিরিয়াল কিলার খুনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি। সিনেমাটি পাঁচজন বন্ধুকে নিয়ে কাজ করা হয়েছিল। সিনেমায় দেখানো হয়েছিল তারা কিভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল এবং আর তারপর তারা প্রচন্ড হিংস্র হয়ে উঠেছিলেন। যার জন্য তারা সবসময় অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতেন। কারোর সঙ্গে তারা ভালো ব্যবহার করতে না। কীভাবে এই পাঁচ বন্ধুর জীবন নরক হয়ে উঠেছিল তা নিয়েই এই সিনেমার গল্প।
ফায়ার
ফায়ার
সিনেমাটি
প্রেক্ষাগৃহে
মুক্তি
পায়নি।
তবে
আপনি
যদি
এই
সিনেমাটি
দেখতে
চান
তাহলে
দেখতে
পারেন
ইউটিউবে।
বিতর্কিত
সিনেমাগুলোর
মধ্যে
এই
ফায়ার
সিনেমাটি
একটি।
সিনেমাটির
গল্প
গড়ে
উঠেছিল
দুটি
নারীকে
নিয়ে।
এই
সিনেমায়
সমকামীতা
দেখানো
হয়েছিল।
সিনেমায়
অভিনয়
করেছিলেন
বলিউডের
বিখ্যাত
অভিনেত্রী
শাবানা
আজমি,
নন্দিতা
দাস।
এই
সিনেমায়
শাবানা
আজমির
চরিত্রের
নাম
হয়েছিল
রাধা
ও
নন্দিতা
দাসের
নাম
হয়েছিল
সীতা।
রাধা
ও
সীতাকে
নিয়েই
গড়েছিল
এই
সিনেমাটি।
ব্যান্ডিট কুইন
এই সিনেমাটি আপনি দেখতে পারেন অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। এটি একটি জীবনী মূলক চলচ্চিত্র। এই সিনেমার গল্প মূলত গড়ে উঠেছিল ১৯৯৪ সালে ফুলন দেবীর জীবনের উপর ভিত্তি করে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন শেখর কাপুর। সিনেমাটি কিন্তু সেন্সর বোর্ডের কারণে মুক্তি পায়নি। ছবিটিতে দেখানো হয়েছিল কিভাবে ফুলন দেবী উচ্চ বর্ণের পুরুষদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং কিভাবে একজন দস্যুতে তিনি পরিণত হন তারপর তার জীবনে কী কী ঘটেছিল তার ওপরই গড়ে উঠেছিল সিনেমাটি।
গারবেজ
এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি তবে আপনি দেখতে চাইলে দেখতে পারেন নেটফ্লিক্সে। এই সিনেমাটিতে রামি নামে এক মহিলাকে এক ব্যক্তিগত সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কারণ তার ‘সেক্স টেপ' ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। এক ট্যাক্সিআলা তাকে অপহরণ করেছিলেন এবং তার ডেরায় আটকে রেখেছিলেন। এই নিয়েই তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি। সিনেমাটি নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যদিও সিনেমাটি পরে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিল।
ফিরাক
গুজরাত দাঙ্গার ওপর ভিত্তি করে ২০০২ সালে তৈরি হয়েছিল এই সিনেমাটি। কীভাবে এই দাঙ্গা মানুষের অপর প্রভাব ফেলেছিল তার অপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি। রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কারণে সিনেমাটি গুজরাতে মুক্তি পায়নি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন নন্দিতা দাস। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘সিঙ্গাপুরে এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল অফ ফার্স্ট ফিল্মস'-এ এই সিনেমাটি তিনটি পুরস্কার জিতেছিল। শুধু তাই নয় পাকিস্তানের ‘কারা চলচ্চিত্র উৎসবেও পুরস্কার জিতে নিয়েছিল ফিরাক সিনেমাটি।