(ছবি) বিশ্ব ক্যানসার দিবস : বাস্তব জীবনে ক্যানাসারে আক্রান্ত ৬ তারকা
আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। প্রত্যেকবছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীকি দিন হিসাবে পালন করা হয়। বিশ্ব ক্যানসার দিবস-এর ট্যাগলাইন 'নট বিয়ন্ড আস'। ক্যানসারের মতো মারণ ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করার ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করাই এই বিশেষ দিনটির উদ্দেশ্য। চিকিৎসা শাস্ত্রে অনেক উন্নতি করেছে বিশ্ব। ক্যানসারের মোকাবিলাও অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে। তবু এই রোগ নিয়ে আতঙ্কের শেষ নেই।
বহু তারকারাই এই ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচারে অংশ নিয়েছেন। বহু তারকা এই মারণ ব্যধির সঙ্গে লড়াই করেছেন বা করছেনও। আর নিজেদের জীবন অভিজ্ঞতা থেকেই সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছেন, ক্য়ানসার রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনই কিছু ভারতীয় তারকার ছবি নীচে দেওয়া হল যাঁরা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুকে পরাজিত করেছেন, এবং সাধারণ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছেন।
বারবারা মোরি
কাইট খ্যাত বিদেশী অভিনেত্রী বারবারা মোরিও ২০১০ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। যদিও প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ায় তিনি অল্পদিনের চিকিৎসার পরই সুস্থ হয়ে যান।
মুমতাজ
একসময়ে বলিউডে একের পর এক হিট ছবি ও গান দিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছিলেম মুমতাজ। ৫৪ বছর বয়সে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ১১ বছর বাদেও এখন তিনি সুস্থ। যোগব্যায়াম, সাঁতার, জিম, সুস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই আজ তিনি ক্যানসারকে হারাতে পেরেছেন।
লিসা রে
২০০৯ সালে রক্তকণিকার ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী মডেল লিসা রে। রূপের যাদুতে দর্শকদের মাতিয়েছিলেম যে অভিনেত্রীই ক্যানসারে আক্রান্ত শুনে শিউরে উঠেছিল লিসা ভক্তরা। যদিও এই ভয়াবহ রোগ লিসাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়নি। ২০১০ সালে প্লাজমা প্রতিস্থাপন পদ্ধতির মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন লিসা।
মণীষা কৈরালা
হাসির জন্যই জনপ্রিয় ছিলেন সুন্দরী ও প্রতিভাবান অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা। ৪২ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হন মণীষা। নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে চিকিৎসা চলে অভিনেত্রীর। কেমো চলাকালীন নিজের ন্যাড়া মাথার ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। ক্যানসারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তাঁর চুল যে ঝরে যাচ্ছিল তাতে বিন্দুমাত্র সঙ্কোচবোধ করেননি মণীষা। নিজের ইতিবাচক মনোভাবের জোরে মৃত্য়ুর সঙ্গে লড়াই চালাতে থাকেন। আর এখন ক্যানসার আক্রান্তদের আশার পথ দেখান অভিনেত্রী।
অনুরাগ বসু
বরফি ছবির প্রতিভাবান পরিচালক অনুরাগ বসু। অনেকেই জানেন না ২০০৪ সালে রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অনুরাগ বসু। সে বছরই তাঁর প্রথম কন্যা ইশানার জন্ম হয়। ডাক্তারও জানিয়ে দিয়েছিল ২ মাসের বেশি সময় নেই তার কাছে। কিন্তু চিকিৎসকের এই সতর্কবানী টলাতে পারেনি শক্ত মনের মানুষটিকে। হাসপাতালের বিছানা থেকেই তুমসা নেহি দেখা ছবির নির্দেশনার পরামর্শ দিতে থাকেন অনুরাগ। সেই সময়ই 'লাইফ ইন মেট্রো' এবং 'গ্যাংস্টার' ছবির চিত্রনাট্য লেখেন অনুরাগ। ৩ বছরের কেমিওথেরাপি এবং ওষুধের পর আবার স্বমহিমায় অনুরাগ বসু। উপহার দিলেন বরফি।
যুবরাজ সিং
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে তাকে হারিয়ে ফিরে আসার নায়ক অবশ্যই ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। যেভাবে বোলার বল ব্যাটের আঘাতে মাঠের বাইরে পাঠান যুবরাজ ঠিক সেভাবেই ক্য়ানসারকেও ছুঁড়ে ফেলেছেন। বিরল এক মারণ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন যুবরাজ। সারা দেশ প্রার্থনা করেছিল যুবরাজের আরোগ্য কামনায়। যুবরাজের হৃদয় আর ফুসফুসের মধ্যে টিউমার তৈরি হয়েছিল এবং তা ক্রমশই বড় হচ্ছিল। কিন্তু যুবরাজ ক্যানসারকে পরাজিত করেন। দ্য টেস্ট অফ মাই লাইফ বইয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বর্ণনা করেছেন যুবরাজ। ক্যানসার জয়ের পর ফের ক্রিকেট প্রেমীদের মন জয়ে ক্রিকেট মাঠে স্বমহিমায় নামেন যুবরাজ।